
লাইভ প্রতিবেদক: ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আন্দোলন চলছে। এদিকে চলমান এই আন্দোলনে পুলিশ সদস্যরা লাঠি দিয়ে দুই চাকরিপ্রার্থীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতরা এখনো পিএসসির গেটেই অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের গেটে ৬ দফা দাবি নিয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা এ অভিযোগ করেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলেও পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের দুই জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
এদিকে বাধা অতিক্রম করে মিছিল নিয়ে পিএসসি ভবনের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডারদের পদ বরাদ্দের পর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নন ক্যাডারে চাকরির জন্য সুপারিশ করা হতো। কিন্তু সরকারি কর্ম কমিশনের নতুন নিয়মের ফলে শত শত চাকরি প্রত্যাশীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় পড়েছে। নতুন নিয়মকে অযৌক্তিক দাবি করে পিএসসির কড়া সমালোচনা করেন তারা।
এর আগে সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অফিস শেষ করে বের হলে আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি অবরুদ্ধ করে শুয়ে পড়েন। পরে আন্দোলন সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যানের গাড়ি বের হতে দেওয়া হয়।
চাকরিপ্রার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো:
১. যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন আভার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০ থেকে ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিভ্রান্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভ্রাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
২. বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে (৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার এর পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
৩. করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা।
৪. যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা।
৫. বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ "যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে" এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
৬. বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখা।
ঢাকা, ০১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: