Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই গ্রিড বিপর্যয়!

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবার ২০২২, ২২:২২

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

লাইভ প্রতিবেদক: ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক তদন্তে কমিটি জানতে পেরেছে এখানকার সঞ্চালন লাইনের কোনো একটি ইন্টারকানেকশনের মধ্যে ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এমন ধারণা করেন। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী বলেন, এখানকার সঞ্চালন লাইনের কোনো একটি ইন্টারকানেকশনের মধ্যে ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, ২০১৪ সালের বিপর্যয়ের পরও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়নি।

তিনি বলছেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে সঞ্চালন ব্যবস্থার সমন্বয়হীনতার কারণেই মঙ্গলবারের বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো একটি লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্য লাইন ওভার লোড হয়ে সেটা ট্রিপ করে। এ কারণে পূর্বাঞ্চলের গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বল্পতা দেখা দেয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ট্রিপ করলে প্রথমে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ ও ৫নং ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মেরামত শেষে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪নং ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলেও ৫নং ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু করা সম্ভব হয়নি। বন্ধ থাকা ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫নং ইউনিটের বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যা মেরামত করলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা চালু করা সম্ভব হয়নি।

এ ইউনিটটি চালু করতে আরও দুই-তিন দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। ইউনিটটি গরম অবস্থায় চালুর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখন ঠান্ডা হতে দুদিন সময় লাগবে। এরপর উৎপাদনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিদর্শনে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শক শামছুর জোহা, নির্বাহী প্রকৌশলী আরেফিন সিদ্দিক ও সাইদুল ইসলামসহ তদন্ত কমিটির ছয় সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ঘোড়াশালে পাঁচ নম্বর ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইউনিটটি চালু করতে কাজ চলছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন লোড ডেসপাস সেন্টার-এনএলডিসি থেকে নির্ধারিত কোডের ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণের সমন্বয়টা ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম জানান, সামগ্রিকভাবে অব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণেই সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। ভবিষ্যৎ এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সবার আগে উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থাকে এনএলডিসির নিয়ম মেনে চলার তাগিদও দেন এই বিশেষজ্ঞ।

ঢাকা, ০৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ