বরগুনা লাইভ: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে চায়ের দোকান, সব জায়গায় চলছে সমালোচনা। অবশেষে এ ঘটনায় সেই নববধূকে প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনার সাত দিনের মাথায় সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানা পুলিশ।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যান মনিরুল ইসলাম (৩৫)। পরে রাত ১১টার দিকে স্ত্রী নুরে জান্নাত লুলি প্রেমিক নোমান ও লোকজন নিয়ে স্বামী মনিরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর নোমানের (২৪) সঙ্গে পালিয়ে যান। জানা গেছে, নোমান বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার আলাল হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনার পর নোমান তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামে তার ভগ্নিপতি হাসান প্যাদার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। পরে আজ সোমবার সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারকৃত বরগুনা সদর উপজেলার ৮নং ওয়ার্ডের হেউলিবুনিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের নুরে জান্নাত লুলুর সঙ্গে বরগুনা সদর উপজেলার প্রবাসী মনিরের বিয়ে হয়। বরগুনা জেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর ছিলেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে যান ওই দম্পতি। পরে রাতে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় নববধূ। পরে মহিপুর থানায় মনিরুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ নববধূকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: