লাইভ প্রতিনিধি: নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলেও এসএসসি পরীক্ষার সময় পেয়েছে মানবিক বিভাগের প্রবেশ পত্র। বলছি এবারের চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী কুষ্টিায় মো. শিপন আলীর কথা। মানবিকের প্রবেশপত্র পেয়ে সেই প্রবেশপত্র দিয়ে এর মধ্যে পাঁচটি পরীক্ষা শেষ করলেও শিক্ষক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিভাবকসহ কারোরই চোখে পড়েনি বিষয়টি। অবশেষে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি টের পায় ওই পরীক্ষার্থী।
পরদিন তার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। এ ঘটনায় দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। এর পর বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানালে তারা তাকে মানবিক বিষয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন। এতে সে আরও ভেঙে পড়ে। দিশেহারা হয়ে একপর্যায়ে সে ওই রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুঠোফোনে কল করে। শিপনের আকুতি-মিনতি দেখে তাকে আশ্বস্ত করেন ইউএনও। পরে ইউএনওর প্রচেষ্টায় শনিবার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় সে।
শিপন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সে পৌরসভার মো. শাহিন মণ্ডলের ছেলে। কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
এ বিষয়ে শিপন বলে, পাঁচটি পরীক্ষা হয়ে গেলেও বুঝতে পারিনি। স্যারেরাও টের পায়নি। শুক্রবার রাতে টের পেয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের জানাই। শিক্ষকরা মানবিক বিভাগেই পরীক্ষা দেওয়া কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। পরে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে ইউএনও স্যারকে কল দিয়েছিলাম। তিনি আমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। কিন্তু সংশোধিত প্রবেশপত্র এখনো হাতে পাইনি।
জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, শিপন স্কুলে অনিয়মিত ছিল। বিষয়টি আগে জানায়নি, আমরাও টের পাইনি। টেকনিক্যাল ভুলে এমন হতে পারে। ওকে নিয়ে বোর্ডে যাওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিপন কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার সমস্যার কথা জানায়। সে বারবার বলছিল আমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। একথা শুনে আমি তাকে চিন্তা না করে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলি। এরপর রাতভর শিক্ষা অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) সঙ্গে কাজ করে তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
তিনি আরও বলেন, শিপন আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছে। খুব দ্রুতই তার সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, হঠাৎ জানতে পেরেছি বিজ্ঞানের ছাত্র মানবিকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সংশোধনের জন্য প্রধান শিক্ষক কাজ করছেন।
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: