লাইভ প্রতিবেদক: নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছে খাদ্য বাজার। চাল বিক্রিতে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন সরকার। এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক কিনা; তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, আইনটি পাস হলে মিনিকেট, নাজিরশাইল ও লতা—এমন সব কৃত্রিম নামে চাল বিক্রি করা যাবে না। কারণ বাস্তবে চালের এমন কোনো জাত নেই। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, বিতরণ ও বিপণনের সঙ্গে অপরাধের বিবরণ দেয়া হয়েছে নতুন আইনে। এটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। আর অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে।
আইনে অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়, খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানাস্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন ও এ সংক্রান্ত অন্য কাজে আইন লঙ্ঘন করলে সাজা পেতে হবে।
আইনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি গুদামের খাদ্যশস্যভর্তি বস্তা পুনরায় সরকারের কাছে বিক্রি করা, সরকারি গুদামের সিলযুক্ত চাল বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি হবে। প্রকল্পে বিতরণকৃত চাল পরিমাণে কম দেয়া, উপকারভোগী ছাড়া অন্য কাউকে দিলে শাস্তি হবে।
এছাড়া খাদ্যশস্য বিক্রি-বিতরণকালে বিএসটিআই অনুমোদিত বাটখারা ব্যবহার না করা, লেনদেনের হিসাব সংরক্ষিত না রাখা, খাদ্যশস্যের মজুতসংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানাস্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২২’ শিরোনামের এই আইন কেউ লঙ্ঘন করলে তাকে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড কিংবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে। আইনের অধীন অপরাধের বিচার হবে ‘খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালতে’। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালতের ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: