লাইভ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসতম এই গ্রেনেড হামলা চালায়। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তাহলে এটা কিসের গণতন্ত্র। একটা প্রকাশ্য জনসভায় কীভাবে আর্জেস গ্রেনেড মারতে পারে?
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সেই বিভিষিকাময় দিনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রোববার (২১ আগস্ট) আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ দিন উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে, যারা অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করে মেরেছে তারা আজকে বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করছে। বিদেশিরা রিকোয়েস্ট করছে ওদেরকে একটু জায়গা দেয়া যায় কিনা। ওদেরকে জায়গা দেয়া যায় কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপির নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০০১ সালের কিছু সুশীল ও দুটি দেশের দূতাবাস কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলো। পাকিস্তানি সেনারা যেভাবে নির্যাতন করেছিল ঠিক সেভাবেই অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়েছিল আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর ট্রেনে হামলা হলো। এটা কতটা ন্যক্করজনক একটি রাষ্ট্রের জন্য। আমরা এগুলো নিয়ে সমাবেশ করলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংসদে এগুলো নিয়ে কথা বললাম। আমার মাইক বন্ধ করে দেয়া হলো। ওখানে বললো যে আমি নিজেই নিয়ে গেলাম। সমাবেশে হামলা হলো। খুনিদের সেই রাতে পাঠিয়ে দেয়া হলো। রাতারাতি সব আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করা হলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আজ গুম-খুনের কথা বলেন জিয়াউর রহমান এই গুম-খুন শুরু করেছেন।
ঢাকা, ২১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: