Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যত অভিযোগ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৫৫

রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোঃ ইলিয়াস

রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) লাইভ: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজিবপুর ইউনিয়নের বরাদ্দ সাইলোর ড্রাম পায়নি ভুক্তভোগীরা। হত দরিদ্র ও বন্যা কবলিত এলাকার জন্য সাইলো পাইরোটি অনুমোদিত তালিকায় সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোঃ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও মুজিববর্ষ উপহারের ভিজিএফ'র চাউল বিতরনে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যেকবার বিতরণের সময় সুবিধাভেগীদের যে স্লিপ দেওয়া হয় সেই স্লীপ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে জানা যায় চাউল/ড্রাম শেষ। সর্বশেষ রানা নামের এক ব্যক্তির ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। একই ব্যক্তির বিষয়ে দুটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে রানা মিয়া নামের ব্যক্তি পুত্র হিসেবে তালিকাতে যুক্ত থাকলেও অপর আরেকটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে রানা মিয়াকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত একটি ফেজবুক পেইজ থেকে রানা মিয়া ওয়ারিশ সার্টিভেকেটের জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা জানালেও পরে আরেকটি বিবৃতিতে অস্বীকার করেন। রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোঃ ইলিয়াস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই ক্ষমতার অব্যবহার করে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন না করে সিংহভাগ লোপাট করে আসছেন। এছাড়াও নানা দুর্নীনিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এদিকে তার এমন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ইউনিয়নবাসী।

সাইলোর ড্রামের অনিয়মের বিষয়ে অসংখ্য ভুক্তভোগীর কাছে থেকে বিভিন্ন তথ্য জানা গেছে। রফিকুল নামে এক ব্যক্তি ক্যাম্পাসলাইভকে জানায়, আমার বাড়িতে মোট দুইটা নাম আছে। আমি একটাও ড্রাম পাইনাই। সাইলোর না পেয়ে আমি রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিসি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমার মায়ের নাম তালিকাতে ছিল। তিনদিন পরিষদ ঘুরেও সাইলো ড্রাম পাইনি।
আমাদের বাড়িতে এখনও স্লীপ আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিবপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বসুমিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, সাইলো নামের তালিকা সম্পর্কে তো আমরা জানি না। আমরা শুধু ডিওর পন্য দেই। তালিকা করবে চেয়ারম্যান, এ বিষয়ে তিনিই ভালো জানার কথা।

রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের জন্য তার ফোন নম্বরে কল করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজিবপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোঃ ইলিয়াসের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাইলোর ড্রামের অনিয়মের বিষয়ে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সাইলোর লিষ্ট অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছে। এখন নতুন পরিষদ হওয়ায় আগের মেম্বারদের লিষ্ট ও পরের মেম্বারদের লিষ্টে কিছু গড়মিল হয়েছে। তালিকায় নাম আছে এমন যারা পায়নি বলছে, তারা মিথ্যা বলছে। রাতে কোনও সাইলোর বিতরণ করা হয়নি। আমার জানামতে, রাজিবপুর সদর মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের নামে ভ্যানে ড্রাম উঠাইছিল।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল আলম বাদল ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমাদের সময়ে যে নামের তালিকা করা হয়েছিল সে সব পরিবর্তন করার আসলে সুযোগ নেই। কোনও ভুলত্রুটি করলে সে দায়ভার তাদেরকে নিতে হবে। এই তালিকা অনেক উপরে চলে গেছে তাই পরিবর্তন করার সুযোগ নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিত চক্রবর্ত্তী নম্বরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভিডিও: https://www.facebook.com/Campuslive24/videos/791242752286794

ঢাকা, ০১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ