লাইভ প্রতিবেদক: দীর্ঘ স্বপ্ন। দীর্ঘদিনের আশা। আপামর জনতার চাওয়া-পাওয়ার গল্পের শেষ সমাধি। হয়েই গেল শেষমেষ। থামাতে পারেনি কোন বাঁধা-বিপত্তি। কেবল সামনের দিকে পথ চলার ইতি টানা হচ্ছে আজ। হ্যাঁ সেই ইতি টানার গল্পটা হলো চলাচলের জন্য প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় দেশের কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত এ সেতু। এবার ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াত হবে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী। পূরণ হবে সব দীর্ঘ আশা আখাংকার ইতি কথা।
এক নজরে পদ্মা সেতুর আগাগোড়া:
প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। প্রকল্পের অবস্থান: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় প্রকল্পের অবস্থান। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।
যখন থেকে শুরু: ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।
একনেকের অনুমোদন: ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পায়। পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয়ও বাড়ে। ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে আবারও আট হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর পুরো টাকাই সরকারি অর্থায়ন।
প্রকল্পের মেয়াদ: ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২৩।
বিশ্বব্যাংকের ভিন্ন সুর: পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ অঙ্গীকার করেছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই অঙ্গীকার থেকে সংস্থাটি সরে যায়। এ ধরনের কাজের শর্ত অনুযায়ী মূল ঋণদাতা চলে গেলে চলে যায় অন্যরাও। কাজেই একে একে এডিবি, জাইকা ও আইডিবিও চলে যায়। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের মোট ব্যয়: ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
সেতুর মূল ঠিকাদার: পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।
মূল চুক্তিমূল্য: ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
কাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর, ২০১৪।
চুক্তি অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৮। পরে কয়েক ধাপে সময় বাড়ানো হয়। কাজের মূল সময়সীমা: ৪৮ মাস। বর্ধিত সময় ৪৩ মাস। কাজ সমাপ্তির পুনঃনির্ধারিত তারিখ: ৩০ জুন, ২০২২ (বর্ধিত সময়সহ)। এ পর্যন্ত কাজের ভৌত/বাস্তব অগ্রগতি: ৯৮ শতাংশ।
রেল সংযোগ: পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।
অফিসিয়াল নাম: পদ্মা সেতু।
নকশা: আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিওএমের (AECOM) নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল।
ধরন: পদ্মা সেতুর ধরন দ্বিতলবিশিষ্ট।
প্রধান উপকরণ: কংক্রিট ও স্টিল।
রক্ষণাবেক্ষণ: বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
দৈর্ঘ্য: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
প্রস্থ: পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।
ভায়াডাক্ট: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার।
ভায়াডাক্ট পিলার: ৮১টি।
পানির স্তর থেকে উচ্চতা: ৬০ ফুট।
পাইলিং গভীরতা: ৩৮৩ ফুট।
মোট পিলার: ৪২টি।
মোট পাইলিং: ২৮৬টি।
সংযোগ সড়ক: পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।
মোট লোকবল: পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।
প্রবৃদ্ধি বাড়বে: ১ দশমিক ২ শতাংশ।
নদীশাসন: প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।
ঠিকাদারের নাম: সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড চায়না।
চুক্তিমূল্য: ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
ভূমি অধিগ্রহণ: ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর।
অ্যাপ্রোচ রোড: জাজিরা ও মাওয়া।
সেতু পাড়ে বৃক্ষরোপণ: লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।
পদ্মা সেতু জাদুঘর স্থাপন: পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা’র জন্য নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ চলমান।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অভয়ারণ্য কর্মসূচি: পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা সম্পন্ন হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ‘খসড়া ম্যানেজমেন্ট প্লান’ চূড়ান্তকরণের কাজ চলমান।
মাত্র ৩ সেকেন্ডে টোল:
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। পরদিন (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকেই খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের এই সেতুটি। এরপর থেকে সরকার নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। টোল আদায়ে সেতু এলাকায় বসছে আধুনিক ইলেকট্রনিকস টোল কালেকশন (ইটিসি) বুথ। এর মাধ্যমে চলমান গাড়ি থেকে মাত্র ৩ সেকেন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করা যাবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের জন্য যানবাহনের উইন্ডশিল্ডে বিশেষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) কার্ড লাগাতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে এই প্রি-পেইড কার্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেবে ইটিসি বুথ। সেতুর দুই প্রান্তে প্রথম পর্যায়ে দুটি গেটে বসানো হবে ইটিসি বুথ। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুই প্রান্তের অন্য ১২টি গেটেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (কারিগরি) কাজী মোহাম্মাদ ফেরদৌস জানান, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের টোল প্লাজায় সাতটি করে মোট ১৪টি গেট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দুই প্রান্তে দুটি গেটে ইলেকট্রনিকস টোল কালেকশন বুথ চালু হবে। যার ভেতর দিয়ে একটি গাড়ি মাত্র তিন সেকেন্ডে পার হতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। তিনি জাজিরায় আবার ফলক উন্মোচন করবেন। এদিন বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী বাসের ভাড়া:
পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপারের জন্য অনুমোদিত যানবাহনের টোল নির্ধারণ করেছে সরকার। সেতু পার হতে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা টোল দিতে হবে মোটরসাইকেলে। ট্রাক (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) সাড়ে ৫ হাজার টাকা এবং বাসে সর্বোচ্চ ২৪শ টাকা। গত ১৭ মে সেতু বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ টোল হার নির্ধারণ করা হয়।
সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে। বাসের ক্ষেত্রে ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
এছাড়া ছোট ট্রাককে (পাঁচ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (আট টনের বেশি ও সর্বোচ্চ ১১ টন) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাকে (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা। আর ট্রেইলার (ফোর-এক্সেলের অধিক) ছয় হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে।
পদ্মাসেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। এই সেতু দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এই সেতু এখন আমাদের গর্ব। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের দীর্ঘতম ১০ সেতু সম্পর্কে। দীর্ঘতম সেতুর এই তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসির সাইন্স ফোকাস ম্যাগাজিন।
১. ডানইয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীন
২. চাংহুয়া-কোয়াশিউং রেলসেতু, তাইওয়ান
পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু চাংহুয়া-কোয়াশিউং রেলসেতু। এটি তাইওয়ানে অবস্থিত। সড়কপথের পাশাপাশি তাইওয়ানের দ্রুতগতির রেলপথ এই সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ১৫৭ কিমি।
৩. ক্যান্ডি গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীন
পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১৬ কিমি । চীনে অবস্থিত সেতুটি বেইজিং ও সাংহাইকে সংযুক্ত করেছে। ভূমিকম্পে অটলভাবে দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতার লক্ষ্য নিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
৪. তাইয়ানজিন গ্র্যান্ড সেতু, চীন
এই সেতুটিও চীনে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ১১৩ কিমি। চীনের লাংফাং ও কুইংজিয়েনের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে এই সেতু।
৫. উইনান উইহি গ্র্যান্ড সেতু, চীন
পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম সেতু এটি। এর দৈর্ঘ্য ৭৯ কিমি। ২০০৮ সালে যখন এটি নির্মিত হয়েছিল তখন বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হিসেবে নাম লিখিয়েছিল। পরবর্তীতে সেই স্থান হারিয়ে বর্তমানে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।
৬. হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু, চীন
২০১৮ সালের অক্টোবরে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই সেতুটি। এর দৈর্ঘ্য ৫৫ কিমি। হংকং আর চীন- দুইটি দেশকে যুক্ত করার কারণে এই সেতুটি নিয়ে বহু আলোচনা হয়। ৫৫ কিলোমিটারের এই সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুর পাশাপাশি সমুদ্র টানেলও।
৭. ব্যাং না এক্সপ্রেসওয়ে, থাইল্যান্ড
বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকা এই সেতুটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৫৪ কিমি। ২০০০ সালে নির্মিত হয় এই সেতুটি।
৮. বেইজিং গ্র্যান্ড সেতু, চীন
চীনের এই সেতুটি মূলত রেলপথ। এর দৈর্ঘ্য ৪৮ কিমি। ২০১০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করার পর ২০১১ সালে এতে যান চলাচল শুরু হয়। হাই-স্পিড বুলেট ট্রেন চলাচল করে সেতুটিতে।
৯. লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র
পৃথিবীর দীর্ঘতম ১০ সেতুর মধ্যে একমাত্র এই সেতুটিই এশিয়ার বাইরে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার। প্রথম এই সেতুটি নির্মিত হয় ১৯৫৬ সালে । যান চলাচল বাড়লে দ্বিতীয় সেতু যুক্ত করা হয়। এরপর ১৯৬৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১০. উহান মেট্রো সেতু, চীন
বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় দশম স্থানে আছে উহান মেট্রো সেতু। চীনের উহান শহরে অবস্থিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৭ কিলোমিটার। এই সেতুটি চালু হয় ১৯৯৫ সালে।
পদ্মা সেতুর অবস্থান কত?
পৃথিবীতে অসংখ্য সেতু রয়েছে। আর এই অসংখ্য সেতুর মধ্যে দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় বাংলাদেশের পদ্মাসেতু বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘ সেতু।
ঢাকা, ২৪ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিডি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: