মৌলভীবাজার লাইভ: ভারী বৃষ্টি ও সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারের জুড়ি, বড়লেখা, কুলাউড়া, সদর ও রাজনগর উপজেলার প্রায় ৪ শতাধিক গ্রামের আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পাহাড়ধসের শঙ্কা।
সোমবার (২০ জুন) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে জেলার নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বকুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়েছে। এতে ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত হয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বাড়ায় ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদরসহ ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি।
এছাড়াও জুড়ী উপজেলার তিনটি, সদর উপজেলার ছয়টি এবং রাজনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ওয়াবদা বেড়িবাঁধের উত্তর পাশে কুশিয়ারা নদীর তীরের রামপুর, সুরিখালসহ ২০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, পুরো জেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। বানভাসি মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা, ২০ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: