চট্টগ্রাম লাইভ: নির্বাচনের সময় কেন্দ্র দখলে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের পক্ষে ভাড়ায় খাটে একটি চক্র। ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ জনপ্রতি এক দিনের জন্য নেন ২০ হাজার টাকা। অস্ত্র ছাড়া হলে ১০ হাজার। বলছিলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে চন্দনাইশ পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলে শওকত হোসেনের নেতৃত্বে চালানো তাণ্ডবের কথা।
এদিকে শওকত হোসেনের নেতৃত্বে ভাড়ায় খাটার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অস্ত্রধারীরা। গতকাল চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালতে অস্ত্রধারী শওকত হোসেন জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, চন্দনাইশে পৌর নির্বাচনের দিন এই চক্রের সদস্যরা একেকজন দুই থেকে তিনটি করে গুলি করেছিলেন। পরে জানতে পারেন, একজন কলেজছাত্র মারা গেছেন।
গত বুধবার রাতে শওকতসহ তিন অস্ত্রধারীকে নগরের লালদীঘি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাকি দু'জন হলেন কামরুল আজাদ ওরফে সুমন ও আজাহার উদ্দিন। তিন আসামির মধ্যে কামরুল গত বৃহস্পতিবার জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় নির্বাচনে কেন্দ্র দখলে ভাড়ায় খাটার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এখন আজাহারকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে। তবে তিনজনের কাছ থেকে এখনও অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
জবানবন্দিতে শওকত জানান, ভোটের আগের দিন রাতে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রহিম উদ্দিনের ঘরে যান অস্ত্রধারীরা। অস্ত্র ছাড়াও রাতে হাত খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা করে নেন। ভোটের দিন দেন ১০ হাজার টাকা করে। আসার সময় চা-পানি খাওয়ার জন্য দেন আরও ৩ হাজার টাকা। কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রহিম তাকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেন বলে জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই শফিউল আলম বলেন, শওকতের জবানবন্দিতে নির্বাচনে ভাড়ায় খাটা চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যের নাম বেরিয়ে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঢাকা, ১২ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: