Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

''দেশের উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ''

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২২, ০২:৩১

ছবি: সংগৃহীত

লাইভ প্রতিবেদক: দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুসংহত করতে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫০ টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা না গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। ফলে উচ্চশিক্ষা নিয়েও তারা কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে না। এ অবস্থা এড়াতে এখনই উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি সদস্য ও এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের আজ (সোমবার) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন (এনআইএস) শীর্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএস এর বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুন।

ইউজিসি সদস্য আরও বলেন, সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে সরকারের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের এ ধারাকে সূসংহতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। তাই বিশ্বমানের জনবল তৈরিতে দেশের উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী, দক্ষতা ও উদ্দেশ্যমুখী করার কথা তিনি জানান।

দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। সূচনা বক্তব্যে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, নৈতিকতা, সততা ও আচরণগত মানদণ্ড ঠিক রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, স্ব-স্ব কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

প্রশিক্ষণের মূল কর্মঅধিবেশনে এপিএ বাস্তবায়ন বিষয়ে বক্তব্য দেন ইউজিসি এপিএ টিমের ফোকাল পয়েন্ট মোঃ গোলাম দস্তগীর এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন এপিএ টিমের সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম।

প্রশিক্ষণের উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. দূর্গারানী সরকার, জেনারেল সার্ভিসেস এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভিন, রিসার্চ সাপোর্ট ও পাবলিকেশন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানা, একই বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও মোঃ শাহীন সিরাজ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপপরিচালক ড. মোঃ মহিব্বুল আহসান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মোস্তাফিজার রহমান, জেনারেল সার্ভিসেস এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপপরিচালক মোঃ সুলতান মাহমুদ ও মুহাম্মদ মাসুদ হোসেন। প্রশিক্ষণে ইউজিসি’র ৪০ জন অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালক এবং সমমান কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা, ০৬ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ