Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

আইসিটি শিক্ষায় গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে ইউজিসি

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ০৪:১২

আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়াতে ইউজিসি, বিসিসি ও জাইকার সম্মতি

লাইভ প্রতিবেদক: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই/আইটি/আইসিই/আইসিটি বিষয়ে ক্যারিকুলাম হালনাগাদে এই গাইডলাইন বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করে ইউজিসি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এর সহযোগিতায় এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন-এর নেতৃত্বে দেশের তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ০৭ সদস্যের কমিটি এই গাইডলাইন প্রনয়ন করেছে।

উল্লেখ্য, জাপানে দশ হাজার আইটি ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান তৈরি, আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সচেতনতা বাড়াতে ইউজিসি, বিসিসি ও জাইকা যৌথভাবে কাজ করছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম- এর হাতে আজ বুধবার স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন এর কপি হস্তান্তর করা হয়। সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইনামুল কবির, জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিরোকি ওয়াটানাবে, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সভায় অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশর তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তির শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য এই গাইডলাইন বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করবে। এই গাইডলাইন বাস্তবায়নে ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ  প্রদান করবে। তিনি আরও বলেন, এই গাইলাইন অনুসারে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করা হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েটরা এগিয়ে থাকবে।
 
অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এই গাইডলাইন অনুসারে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার ক্যারিকুলাম প্রণয়ন করা হলে আইসিটি সেক্টরে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ঘাটতি কমবে। এটি আইসিটি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করবে। এর মাধ্যমে আইসিটি খাতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েটদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। জাপানে আইটি পেশাজীবীদের মাননিয়ন্ত্রক জাতীয় পরীক্ষা আইটিইইসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলাদেশেী গ্রাজুয়েটরা ভালো করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, জাপানের ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনে দেশের আইটি গ্রাজুয়েটরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে সে জন্য ২০১৯ সালে দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে ইউজিসি। এই কর্মশালার সুপারিশ মোতাবেক এই গাইডলাইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। 

ঢাকা, ১৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ