Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর: বাড়ছে যাত্রীদের চাপ

কমলাপুর ও সদরঘাটে বাড়ছে ভিড়, শিমুলিয়ায় ৭ ঘণ্টায় ৫০ হাজার যাত্রী পার

প্রকাশিত: ১ মে ২০২২, ০৫:০২

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর: বাড়ছে যাত্রীদের চাপ

লাইভ প্রতিবেদক: রাজধানীর সদরঘাটে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন লঞ্চমালিকরা। তারা বলছেন আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শেষ বিকেলে যাত্রীরা হামলে পড়ে। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে। এছাড়া কমলাপুরসহ বিমানবন্দর স্টেশনে প্রতিটি ট্রেনে ঝাঁপিয়ে উঠছেন যাত্রীরা। এই দুই স্টেশন থেকে ছাদে যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। ট্রেনে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাচ্ছেন।

সদরঘাটে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ না থাকলেও শেষ বিকেলে ঘাটে ভিড় করছেন যাত্রীরা। সদরঘাটে পৌঁছাতে বিকেল থেকে যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। লঞ্চমালিকরা বলছেন, আজ গার্মেন্টসে ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সন্ধ্যায় ইফতারের পর চাপ আরও বাড়বে। সকাল থেকে বেশ হতাশ ছিলাম।

কারণ অন্যান্য সময় সকাল থেকেই ভিড় বেশি থাকে। কিন্তু এবার সকালে তেমন ভিড় ছিল না। তবে বিকেলে ভিড় বাড়ায় কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত শাহিনা বেগম বলেন, ‘আমগো আজকে ছুটি হইছে। সকালে তাড়াতাড়ি বাইর হইছি। সবাইরে নিয়া আইছি। লঞ্চে তো এহন অনেক ভিড়। সকাল থেকে তো ভিড় কম শুনছি।’ আমিনুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। লঞ্চে মোটামুটি সিট আছে। আশা করি, শান্তিতে বাড়ি যেতে পারবো।’ জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হয়।

সদরঘাটে যাত্রীর চাপ:

রাজহংস লঞ্চের স্টাফ শাজাহান জানান, কিছুক্ষণ আগে আমাদের আরেকটি লঞ্চ রয়েল ক্রুজ-২ ঘাট ছেড়ে গেছে, যাত্রী ভালোই হয়েছে। তবে সকাল থেকে যাত্রী ছিল না, তাই লঞ্চ ছাড়তে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন রাজহংস ঘাটে আসছে। যাত্রী পরিপূর্ণ হলে ছেড়ে যাবে।
লঞ্চঘাটে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘাটে লঞ্চ ভিড়েছে ১০০টি। এর মধ্যে ছেড়ে গেছে ৭৩টি।

কিছুক্ষণ পরপরই লঞ্চ মালিকদের বাড়তি যাত্রী না নিতে এবং সময়মতো ছেড়ে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে। ছাদে যাত্রী নেওয়া হলে জরিমানার বিষয়েও হুঁশিয়ার করা হচ্ছে লঞ্চমালিকদের। সদরঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই হুমায়ুন বলেন, যে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিমও এখানে কাজ করছে, তারা লঞ্চগুলো ঘুরে দেখছেন। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এবার শিমুলিয়ায় ৭ ঘণ্টায় ৫০ হাজার যাত্রী পার:

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোটযোগে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন ৫০ হাজার যাত্রী। বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিমুলিয়া নদীবন্দর লঞ্চঘাট থেকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লঞ্চে মোট ২৫২টি ট্রিপ বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে ছেড়ে গেছে। যাত্রী হিসেবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে আনুমানিক ৫০ হাজার যাত্রী এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে আনুমানিক ১০ হাজারের অধিক যাত্রী পারাপার হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ। সকাল থেকে অধিকাংশ সময় ঘাটের অ্যাপ্রোচসড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ জট রয়েছে। একই চিত্র স্পিডবোট ঘাটে। যাত্রীর চাপে স্পিডবোট ঘাটের অবস্থা বেসামাল। ঘাটে নোঙর করতেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নৌযানে। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌরুটে একটি রোরো, দুটি মিনি রোরো, দুটি কেটাইপ ও দুটি ডাম্পসহ ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক মোটরসাইকের পারাপার হয়েছে। ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় ১নং ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে।

চাপ বাড়লেও অস্বস্তি নেই:

এদিকে লাইভ প্রতিবেদক জানান, মহাসড়ক ও টার্মিনালে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। থেমে থেমে যানজটও হয়েছে কোথাও কোথাও। ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা অংশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে অসহনীয় যানজটের শঙ্কা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত স্বস্তি ছিল। অবশ্য আজ শনিবার গার্মেন্টস কারখানা ছুটির পর মহাসড়কে যাত্রীর ঢলে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর তিন টার্মিনালে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যাত্রীর খুব বেশি চাপ ছিল না। তবে বিকেলের পর ভিড় বাড়তে শুরু করে। গাবতলী টার্মিনালে দেখা যায়, ডেকে ডেকে বাসে তুলছেন চালকের সহকারীরা। 'ঝিনাইদহ লাইনে'র ম্যানেজার কবির হোসেন জানান, যাত্রী একেবারেই কম। শনিবার গার্মেন্টস ছুটির পর এ অবস্থা থাকবে না। গাবতলী টার্মিনালের কাউন্টারের কর্মীরা জানান, দক্ষিণবঙ্গের বাসগুলো সহজেই পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পার হতে পারছে। শনিবার যাত্রী বাড়লে এ স্বস্তি থাকবে না।

রাজধানীর মহাখালী টার্মিনালে সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যারা এ টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার উদ্দেশে যাত্রা করেন, তারা সাধারণ সময়ের মতোই দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় গাজীপুর পার হতে পেরেছেন। সায়েদাবাদ থেকে চলা সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর বাসের কর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাবতলী টার্মিনালে ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা অতীতের যে কোনো সময়ে তুলনায় ভালো। সড়কে যেসব সমস্যা ছিল, তার সমাধান করা হয়েছে। ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে নতুন নির্মিত তিনটি ফ্লাইওভার এবং একটি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় আগের মতো দুর্ভোগ হবে না।

অন্যদিকে শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ২৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এগুলো ১০ মিনিট থেকে সোয়া ১ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছেড়েছে। অন্যান্য বছরের মতো শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। উত্তরবঙ্গের ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়নি। কমলাপুর স্টেশনে টিকিট দেখে যাত্রীদের ঢুকতে দেওয়ার নিয়ম করা হলেও প্রচুর যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

বিমানবন্দর স্টেশনে প্রতিটি ট্রেনে ঝাঁপিয়ে উঠছেন যাত্রীরা। এই দুই স্টেশন থেকে ছাদে যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। ট্রেনে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাচ্ছেন। কিন্তু জয়দেবপুর থেকে হাজারো মানুষ ছাদে উঠছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দিনাজপুরের 'দ্রুতযান এক্সপ্রেসের' সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। আজ গার্মেন্ট ছুটির পর ট্রেনে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের হাটিরকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক দুই পাশে সার্ভিন লেনসহ চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজের ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। অতীতের ঈদযাত্রায় এই মহাসড়ক যানজটে স্থবির হওয়ায় ঢাকা থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে যেতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগত। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে যানজট ছিল না।

আমাদের সিরাজগঞ্জে প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অংশে যানবাহনের ধীরগতি এবং থেমে থেমে যানজট হলে স্থবিরাস্থা ছিল না। শুক্রবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় হতে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার জুড়েই গাড়ি চাপ ছিল। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নলকার মোড়ে ট্রাফিক উপপরিদর্শক আসাদ উদ্দিন জানান, পুরোনো নলকা সেতু দিয়ে ঢাকা অভিমুখে আর নতুন সেতু দিয়ে উত্তরের অভিমুখে যানবাহনের জন্য একমুখী করা হয়েছে। কিন্তু সিরাজগঞ্জের স্থানীয় বাসগুলো মহাসড়কে উঠতে গিয়ে পুরোনো নলকা সেতু ব্যবহার করায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান খান সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের কড্ডার থেকে জানান, সকাল থেকে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। সয়দাবাদ-মুলিবাড়ি-নলকা সেতু পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজট হলেও তা আধাঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, যানজট ঠেকাতে যমুনার বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের লেন বাড়ানো হয়েছে। মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুটি লেন করা হয়েছে। এর পরও সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্বর থেকে টোলপ্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন লেগেছিল। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় মোটরসাইকেলের আরোহীদের। টোলপ্লাজা ইনচার্জ প্রবীর ঘোষ জানান, দুপুরের পর মোটরসাইকেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নুর আলম মিনা মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে জানান, যানজট ঠেকাতে গত মাসে নানা পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। তা কাজে এসেছে। মহাসড়কে ধীরগতি থাকলেও কোথাও যানজট নেই। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সকালে যানজটের চাপে মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে গাড়ির চাপ এখনও বাড়েনি। সায়েদাবাদ থেকে যাত্রা করা তিশা পরিবহনের যাত্রী ইকবাল হোসেন জানান, সকাল সোয়া ১০টায় রওনা করে সোয়া দুই ঘণ্টায় কুমিল্লায় পৌঁছান। দাউদাকান্দি থানার ওসি জহিরুল হক বলেছেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় যাত্রীরা ধাপে ধাপে গ্রামে ফিরছেন। এ কারণে চাপ কম। যানজট নিরসনে পুলিশ সড়কে তৎপর রয়েছে।

যানজটের জন্য কুখ্যাত গাজীপুরের মহাসড়ক শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত সচল ছিল। হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর জোনের পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনে ৪০ হাজার গাড়ি চলে। সংখ্যাটি ৬০ হাজারে উন্নীত হলেও সমস্যা হবে না।

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ