লাইভ প্রতিবদেক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আগামী প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানতে হবে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জাদুঘর করার উদ্দেশ্য হচ্ছে-প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যাতে জানতে পারে, কত মহান ত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সেই স্মৃতিচিহ্নগুলো তারা (নতুন প্রজন্ম) দেখবে। এসব স্মৃতি দেখে তারা উপলদ্ধি করবে। অন্তরে ধারণ করবে এবং সেভাবেই নিজেদের চরিত্রকে গঠন করবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, আমি অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে মুক্তিযোদ্ধারা গর্বভরে বলতে পারেন আমি মুক্তিযোদ্ধা। একটা সময় জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল এবং জয়বাংলা স্লোগান দিতে গিয়ে বহু নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। তাদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের ছুরি মারা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমাজে তারা নানাভাবে অত্যাচারিত-নিগৃহীত হয়েছে। এমনকি জাতির পিতার ছবি প্রচার হতো না টেলিভিশনে। অনেকের ছবির মধ্যে যদি জাতির পিতার ছবিও থাকতো হাহলে সেই ছবিকে কৌশলে ঢেকে প্রচার করা হতো, এমনকি আঙুল দিয়ে ঢেকে রাখতেও দেখা গেছে। ‘কিন্তু সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না। সত্যের শক্তি অনেক বেশি। আজকে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা ফিরে এসেছে’।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা।
পরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারা ২ লাখ মা-বোন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে ‘শিখা অম্লান’ প্রজ্বলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফলক উন্মোচন করেন এবং পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখেন।
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: