Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

'সিনেমায় সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো দৃশ্য দেখানো নিষেধ'

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৪৭



লাইভ প্রতিবেদক: 'সিনেমায় সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো দৃশ্য দেখানো নিষেধ'। এমন বিধান রেখে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। একইসঙ্গে নীতিমালায় বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সরকারের আগাম অনুমোদন নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় এ নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পেশ করেছে বলেও জানাগেছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, খসড়া নীতিমালায় চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা এবং এটি নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান, চলচ্চিত্রের কাহিনি ও সামাজিক প্রেক্ষাপট, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ প্রায় ২০টি ধারা বা উদ্দেশ্যে রয়েছে, যা উল্লেখ করা হয়েছে খসড়ায়। নীতিমালার ৬ নম্বর ধারার ৮ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, চলচ্চিত্রে মাত্রাতিরিক্ত সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রদর্শন করা যাবে না। সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সেন্সর আইনসহ প্রযোজ্য অন্য আইন ও বিধান প্রযোজ্য হবে।

একই ধারার ১১ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, চলচ্চিত্রে সরাসরি কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না। ১২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, শিশু বা নারী কিংবা উভয়ের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্যমূলক আচরণ বা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডকে উদ্বুদ্ধ করে এমন কোনো ঘটনা ও দৃশ্য চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা যাবে না।

এছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রমিত বাংলা ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নৈতিকতাবোধের উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন, সামাজিক কূপমণ্ডূকতা ও কুসংস্কার দূরীকরণ এবং সমাজবিরোধী কার্যক্রম থেকে নিবৃত থাকার জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে হবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে হবে। চলচ্চিত্রে কোনোভাবেই রাষ্ট্রবিরোধী বা জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। চলচ্চিত্রে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। চলচ্চিত্রের সংলাপে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে।

নীতিমালায় চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা নিরূপণ করে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র বলতে যেকোনো ধরনের চলমান চিত্রকে বোঝানো হবে, যা নির্মিত হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ বা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য। সেই অর্থে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন বা নিরীক্ষাধর্মী চলমান চিত্রকে চলচ্চিত্র বলা হবে।

চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানির বিষয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে ১১ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি অপরটি চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এসব কমিটি চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি ছাড়াও যৌথ প্রযোজনা, যৌথ বিনিয়োগে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়গুলো দেখবেন।

 

ঢাকা, ০৩ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ