লাইভ প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি এবং যৌন হয়রানির শিকার হয় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। আর এর পরিমাণটা বেশি পুরুষ শিক্ষকের হাতে।
এমনই তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শারীরিক-মানসিক শাস্তি প্রদান সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মাঠ পর্যায়ে অফিস থেকে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনমাসের ওই প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাত বিভাগে মোট ৩০টি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি এবং যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫টি, ঢাকা ও সিলেটে পাঁচটি করে, রংপুরে দু’টি, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহীতে একটি করে শাস্তির ঘটনা ঘটে। আর এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হয়েছে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোয়।
শাস্তি হিসাবে মাঠ পর্যায়ের অফিস থেকে পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত, ইনক্রিমেন্ট বন্ধ, বিভাগীয় মামলা, বদলি, সতর্ক, তিরস্কার এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে ওই ৩০ জন শিক্ষককে। এর মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে চারজনকে।
অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) সঞ্জয় কুমার চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শারীরিক শাস্তির ঘটনা ঘটেছে ২৮টি। মানসিক শাস্তি ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে একটি করে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, ১০ জন নারী এবং অন্য ২০ জন পুরুষ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিয়েছেন।
এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিত্য লাল দেবনাথের একটি করে ইনক্রিমেন্ট এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
ঢাকা, ২১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: