লাইভ প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর মিছিলে আরও এক ব্যাংক কর্মকর্তার নাম উঠে আসলো। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এস আলম গ্রুপ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলমের (৬৫) মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার করোনায় মারা গেলেন একই ব্যাংকের চট্টগ্রামের লোহাগাড়া শাখার ম্যানেজার মেজবাউল হক আরমান (৪৮)।
বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মেজবাউল হক আরমানের বন্ধু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেজবাউল হক আরমান কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের শাহ আহমদের পাড়া গ্রামের মাস্টার আনোয়ারুল হকের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার বড় ছেলে কক্সবাজার বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এর আগে গত ২২ মে রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এস আলম গ্রুপ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলমের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা আরমান ২০০২ সালে জনতা ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন ব্যাংক হয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক কক্সবাজারের লিংক রোড় শাখায় বেশ কয়েক বছর আগে ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরুর পর মাস ছয়েক আগে লোহাগড়ায় বদলি হন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে সামান্য জ্বর জ্বর অনুভব করেন আরমান। তখন তেমন কোনো ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে অবহেলা করেন। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লক্ষণগুলো তীব্র হতে থাকে।
পরে গত রোববার কক্সবাজার শহরের ইউনিয়ন হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ১২টার দিকে জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে সোমবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে নমুনা পরীক্ষা করতে দেয়া হয়। তার রেজাল্ট করোনা পজিটিভ আসে। করোনার চিকিৎসায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার দিনগত রাতে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
ঢাকা, ১১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: