লাইভ প্রতিবেদকঃ দেশে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে নোয়াখালীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলাকে মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলার বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলায় শনাক্তের হার মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় রেড জোন ঘোষণা করে জেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন।
রোববার বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় দাসের সভাপতিত্বে কনোরা প্রতিরোধে করণীয় এবং জেলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জেলা প্রশাসক বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলাকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, জেলার বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলা আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবে। এতে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার কোনো ব্যক্তি ঘরের বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরে থেকে কোনো লোক প্রবেশ করতে পারবে না। সেই সাথে এসব এলাকায় কোনো গণপরিবহন চলাচল করবে না।
জেলা প্রশাসক আর ও জানান, গত ৯ এপ্রিল জেলার সোনাইমুড়ীতে সর্বপ্রথম এক ইতালি প্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর হু হু করে বাড়তে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৯ মে পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৯ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন।
গত ৮দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১ জনে। এই আটদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬২২ জন। এদের মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৫৫ জন ও সদর উপজেলায় ২৩৬ জন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, রেড জোনকে ইয়োলো জোনে পরিণত করার লক্ষ্যে লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে রেড জোন এলাকার লোকজন অতি প্রয়োজনে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ঘরের বাইরে যেতে পারবে। শর্ত ভঙ্গ করলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
তবে প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা চলবে। এছাড়াও ব্যাংকসমূহ প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী খোলা থাকবে।
ঢাকা, ০৮ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: