Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
করোনা নেগেটিভ

ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০, ২৩:৩৫

লাইভ প্রতিবেদক: ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস কর্মকর্তাকে পোস্টমর্টেম ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এবং মৃত্যুটিকে ঘিরে কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন না ওঠায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার (৫ই জুন) সন্ধ্যায় বনানীস্থ বেসামরিক কবরস্থানে সমাহিত হয়েছেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিটি হারওয়ানস্ইয়া।

ইন্দোনেশিয়া মিশনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণত কোনো বিদেশি মারা গেলে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে লাশ পোস্টমর্টেম হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো বটেই, স্বাভাবিক অবস্থায়ও এটা হয়। ফ্লাইটে মরদেহ বহনে সুরতহাল রিপোর্ট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।

করোনার এই কঠিন সময়ে ঢাকায় মারা যাওয়া প্রথম কোনো বিদেশি, ইন্দোনেশিয়া মিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিটি হারওয়ানস্ইয়ার মৃত্যুর কারণ কোভিড-১৯ কি-না? তা নিশ্চিত হতে তাৎক্ষণিক তার স্যাম্পল ল্যাবে পাঠানো হয়। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সেই রিপোর্ট আসে।

রিপোর্ট নিশ্চিত করে যে, হারওয়ানস্ইয়ার মৃত্যু করোনায় হয়নি। দূতাবাস জানায় জাকার্তা নয়, ঢাকাতেই তারা তাদের কর্মীকে দাফন করতে চায়। কারণ ফ্লাইটসহ অন্যান্য জটিলতা রয়েছে। দূতাবাসের চাওয়ার প্রেক্ষিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

জানা গেছে বৃহস্পতিবার ভোরে কূটনৈতিক জোনের বাসায় আচমকা অচেতন হয়ে পড়েন সিটি হানওয়ানস্ইয়া। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘোষণা করেন পথেই সিটি হারওয়ানস্ইয়া মারা গেছেন।

ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এভাবেই রিপোর্ট করেছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভোর ৫ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঢাকায় সিটি হারওয়ানস্ইয়া একাই ছিলেন। করোনাকালে ২৮ বছর বয়সী ওই বিদেশির মৃত্যুর ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।

এতে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিটি হারওয়ানস্ইয়ার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ড. মোমেন তৎক্ষণাৎ ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত রিনা পি. সুমারনোকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত রিনা তার প্রয়াত সহকর্মীর খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, করোনার এই কঠিন সময়ে জানাজা ও দাফন হওয়ায় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা সামাজিক দূরত্ব মেনেই তাদের সহকর্মীকে শেষ বিদায় জানান। নিহতের পরিবার থেকে কোন আপত্তি করা হয়নি।

ঢাকা, ০৬ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ