Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

কোভিডের থাবায় বিএসএমএমইউ'র প্রফেসর কিবরিয়ার মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২০, ১৯:৩৫

লাইভ প্রতিবেদক: হাজারো চেষ্ঠায় বাঁচানো যায়নি। তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। করোনাভাইরাসের কাছে হার মানলেন ডা. প্রফেসর এসএএম গোলাম কিবরিয়া । চিকিৎসা সেবার অগ্রদূত ফেনীর গর্ব প্রথিতযশা ডা. কিবরিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের (শুক্রবার ০০.৪০ মিনিট) দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

ডা. কিবরিয়ার ভাতিজা নাজমুল করিম ভূঞা সুমন জানান, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে তার জ্বরসহ একাধিক করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে নমুনা পরীক্ষার পর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তিনি আরো জানান, চাচার ফুসফুসে সংক্রমণের হার ছিল প্রকট। তাঁকে শতভাগ অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশের বেশি বাড়েনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

নিহতের পরিবার জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টায় ফেনী পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের মনির উদ্দিন ভূঞা দারোগা বাড়ির সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ফেনী বিএমএ’র সভাপতি ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার জানান, ‘কিবরিয়া স্যার শুধু ডাক্তারই না, তিনি ডাক্তারদের শিক্ষক।

বাংলাদেশের সার্জারী বিভাগের অনেক চিকিৎসকই তার ছাত্র। তিনি বাংলাদেশের একজন ‘সম্পদ, একইসাথে ফেনীর কৃতি সন্তান ছিলেন। ডা. কিবরিয়া ঢাকা শমরিতা হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইউরোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’

ডা. কিবরিয়ার ভাতিজা নাজমুল করিম ভূঞা সুমন আরো জানান, ১৯৪৮ সালে ফেনী পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী মনির উদ্দিন ভূঞা দারোগা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন ডা. এসএএম গোলাম কিবরিয়া। ১৯৭৩ সালে তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ও ১৯৭৯ সালে এফসিপিএস সম্পন্ন করেন।

দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সিলেট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজী বিভাগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া তিনি বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইউরোলজিকাল সার্জনস এর প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ছিলেন একাধারে বাংলাদেশ জার্নাল অব ইউরোলজীর সম্পাদক, সার্ক ইউরোলজি এবং নেফ্রোলজির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।

এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল কাউন্সিলের সদস্য, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এন্ড সার্জন (বিসিপিএস) এর পরীক্ষক কমিটির চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, বিএমডিসির বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান।

প্রফেসর ডা. এস.এ.এম. গোলাম কিবরিয়া দেশের মেডিকেল শিক্ষার উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালীন ইন্ডো ইউরোলজিক ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান কর্মসূচিতেও জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানে এক্সটারনাল পরীক্ষক হিসেবেও কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশে প্রথম রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করা দলের একজনও ছিলেন ডা. গোলাম কিবরিয়া।

ঢাকা, ০৫ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ