লাইভ প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার হলে কান ঢেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা জেলা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, আগামী ৩১ মে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসমুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্নপত্রে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কানে কাপড় জড়িয়ে পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানান, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে আমরা আরও কঠোর ও কৌশল অবলম্বন করব। কোনো প্রার্থীকে কেন্দ্রের মধ্যে কানে কাপড় জড়িয়ে ঢুকতে না দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে প্রশ্নসেট আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনার পর প্রথম কর্মদিবসে রবিবার একাধিক বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে একটি হয়েছে বুয়েটে। খোদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বুয়েটের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি প্রশ্নপত্র পাঠানোর প্রযুক্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এছাড়া ওই কাজে কে বা কারা জড়িত, সেটা জানতে চান। পাশাপাশি পরবর্তী পরীক্ষার প্রশ্ন আরও সুরক্ষিত করার প্রযুক্তি সম্পর্কেও আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা ১১ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিনের পরীক্ষায় সাতক্ষীরায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ২৯ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া ইলেকট্রিক ডিভাইসসহ পাবনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরীক্ষায় অনিয়মে সেখানে আটজন আটক এবং চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। নোয়াখালীতেও একজনকে আটক এবং নকল সরবরাহের অভিযোগে পটুয়াখালীতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ঢাকা, ২৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: