Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ চলছে

প্রকাশিত: ২ নভেম্বার ২০১৮, ০২:৫৩

লাইভ প্রতিবেদক: আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা সংলাপে অংশ নেন।

জানাগেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা সংলাপে অংশ নেন নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় এই সংলাপ শুরু হয়েছে।

বহুল আলোচিত এই সংলাপে যোগ দিতে বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসা থেকে যাত্রা শুরু করে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল।

রওনা হওয়ার আগে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর তারা গণভবনে পৌঁছান। অপরদিকে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ব্যাংকোয়েট হলে বসেন।

সংলাপে দুই জোটের ৪৩ নেতা

 

সন্ধ্যা ৭টার পরপরই সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুরুতেই সবাইকে সালাম জানিয়ে একটি সূচনা বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে আপনারা এসেছেন গণভবন। জনগণের ভবনে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্র অব্যাহত রেখেছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক। এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে বলে মনে করি।

এছাড়া এই দেশটা আমাদের সকলের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি এটা বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিব।

দীর্ঘ নয় বছর ১০ মাস হতে চলল আমরা এই সময়ের মধ্যে দেশে কত উন্নয়ন করতে পেরেছি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন। এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভালো আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার অংশ হিসেবে গত রবিবার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরদিনই সংলাপে রাজি হওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা যায় তাদের ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে সংলাপে আলোচনা করা হবে।

৭ দফা দাবিগুলো হলো:

১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ। জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

২. নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।

৩. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন, সামাজিক গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা।

৪. ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

৫. নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া।

৬. নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা।

৭. তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা।


ঢাকা, ১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ