লাইভ প্রতিবেদক: কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ করছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পুরো দায়ভার সরকারের বলে মন্তব্য করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন পরিষদের নেতারা।
আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, সরকার কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি করে সব গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কোটা বাতিল করায় এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পুরো দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। আমরা কোটা বাতিল চাইনি, আমরা চেয়েছিলাম এর যৌক্তিক সংস্কার।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী, প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা রাখা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও অস্বচ্ছল অবস্থায় রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হোক। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের আমরা সম্মান জানাই।
তিনি বলেন, সচিব কমিটি একটি কথা বলেছে, যদি প্রয়োজন হয় কোটা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে পাঁচ দফার আলোকে আনতে হবে। নতুবা ছাত্র সমাজ তার সমুচিত জবাব দেবে।
লিখিত বক্তব্যে আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সরকারি চাকরিতে বিশেষ নিয়োগ ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না উল্লেখ করে বলেন, নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা, ০৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: