সাতক্ষীরা লাইভ: সুন্দর এই পৃথিবীতে বেচেঁ থাকার স্বাদ সকলেরই। কিন্তু জীবনের প্রারম্ভিক সূচনালগ্নে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে এটা কারও কাম্য নয়। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী গ্রামের ছয় বছরের শিশু আশিক। সর্বদা হাস্যজ্জল, দুরন্তপনা ছেলেটি হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে লড়ছে প্রতিনিয়ত। যন্ত্রনায় চিৎকার করছে, শুধু একটুখানি বাঁচার আকুতি তার।
আশিক উপজেলার উত্তর ছোট কুপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। তার পিতা বিল্লাল হোসেন মালী পেশায় একজন ভ্যানচালক। একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কোনোমতে দু:খ-কষ্টে চালান সংসার। দু’চোখে স্বপ্ন দেখেন আশিককে নিয়ে।
কিন্তু হঠাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার শ্যামনগর-নওয়াবেকী সড়কের চৌরাস্তা মোড়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় ভ্যান চালক বিল্লাল হোসেনের স্বপ্ন। দুর্ঘটনায় ট্রাকের বাম্পার ও রাস্তার পাশে থাকা গাছের মাঝে পিষ্ট হয়ে পেট ও ডান পা দুমড়ে-মুচড়ে যায় আশিকের। পেটের নাড়ি বের হয়ে যায়।
আশিককে তাৎক্ষণিক শ্যামনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে বাঁচানো গেলেও আশিকের ডান পায়ের অবস্থা গুরুতর। অপারেশন করে তার পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে।
এ চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। যা তার গরীব ভ্যানচালক বাবা বিল্লাল হোসেনের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘সন্তানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রয়োজন। দয়া করে সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ছেলেটি আমার বাঁচতে পারবে। সে আবার আমার কাছে ফিরে এসে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে’।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: আশিকের বাবা বিল্লাল হোসেন এর মোবাইল নম্বর: ০১৯১৫৩৮০৮৮৯ (বিকাশ)
ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: