Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সিলেট মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বার ২০১৮, ২০:৫০

লাইভ প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ এর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিশেষায়িত হাসপাতাল।

সিলেট মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার প্রস্তাব বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং তা পাস করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামিতে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি বিভাগে সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া হবে। জনগণের চিকিৎসায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে হবে। মানুষ সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা পাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে চিকিৎসকদের কাজ করে যেতে হবে। গবেষণার প্রতি জোর দিতে হবে। মানুষের যাতে রোগের পরিমাণ কমে সে ব্যাপারে কার্যক্রমে উদ্যোগ নিতে হবে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে। আমরা চিকিৎসা সেবা গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গেছি। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা দেয়া হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল। সমগ্র বাংলাদেশে অনলাইন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। মানুষকে যেন অহেতুক ঢাকায় আসতে না হয়, বিশেষজ্ঞদের মতামত পায় সে জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।

চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসা সেবা আন্তর্জাতিকমানের হতে হবে। আমরা চিকিৎসকদের জন্য আরও গবেষণা কেন্দ্র খুলব, যাতে তারা গবেষণার প্রতি আরও জোর দিতে পারেন। জনগণের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু থাকবে। সে সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতিও এখানে সংগ্রহ করা হবে। মানুষ সেবা পাক এটিই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন স্বাস্থ্যসেবা পায় সে লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে গরিব মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং ৩০ প্রকার ওষুধ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে যাতে আরও বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে ওঠে, সে জন্য হাসপাতালের ও চিকিৎসার বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন একটা শিল্প হিসেবে গড়ে ওঠে। দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে যেন ঠিকমত মানসম্পন্ন পড়াশোনা হয়, সে জন্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তদারকি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ মধ্যবর্তী এবং ২০৪১ খ্রিস্টাব্দে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেবে। বাংলাদেশ তখন আর অবহেলা, অবজ্ঞার দেশ থাকবে না। সবাই বাংলাদেশকে সম্মান করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে আমরা অনেক বরাদ্দ দিচ্ছি। দেশের মানুষ কম খরচে যেন সেবা পায়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একটি ফান্ড করে দিয়েছিলাম। সে ফান্ড রাখা হয়েছিল দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য। আমি এ ফান্ডে আরও ১০ কোটি টাকা দেব, যাতে দরিদ্ররা চিকিৎসার সুবিধা পায়।

তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবার জন্য আমাদের প্রচুর নার্সের দরকার। আমরা নার্স নিয়োগে বয়স শিথিল করে দিয়েছি, যাতে বেশি করে নিয়োগ দেয়া যায়। শুধু ডাক্তারদের ডরমেটরি নয়, নার্সদেরও ডরমেটরি করার পরিকল্পনা থাকবে আগামি প্রকল্পে ।

 

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ