Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইউজিসি’র পরিবর্তে গঠিত হচ্ছে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৮, ২৩:৫১

লাইভ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ নামে রূপান্তর করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আইন জারি হওয়া মাত্র ‘ইউজিসি’ বিলুপ্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা কমিশন’ নামে প্রতিষ্ঠিত হবে।

উচ্চশিক্ষা কমিশন আইনের বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষা কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকেই কাজ করবে। কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবের পদমর্যাদা সরকারই নির্ধারণ করবে। সরকারের অনুমোদনক্রমে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

ইউজিসির খসড়া থেকে জানা গেছে, কমিশন হবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অধীন। স্বাধীনভাবে এই কমিশন যে কোনো প্রশাসনিক ও আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কমিশনের চেয়ারম্যান একজন পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন, পাঁচ সদস্য প্রতিমন্ত্রীর এবং কমিশনের সচিব সরকারের সচিবের মর্যাদা পাবেন। প্রস্তাবিত আইনে পাঠক্রমের মানোন্নয়নের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ আইনের আলোকে শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

উচ্চশিক্ষা কমিশন আইনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছয় সদস্য (ভিসি) এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত তিনজন ডিন দুই বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। চেয়ারম্যান হবেন কমিশনের প্রধান নির্বাহী। সরকার কমিশনের সচিবকে নিয়োগ দেবে। সচিবালয় থাকবে কমিশনের চেয়ারম্যানের অধীন। সচিবালয়ের সচিব কমিশনের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন বিভাগের প্রধান হবেন। অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানদের পদবি হবে ‘পরিচালক’। আইনে বছরে কমপক্ষে তিনটি সভার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার চাহিদা নিরূপণ, পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিমালা প্রস্তুত করবে। এ আইনের অধীন কমিশন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় বাজেট গ্রহণ করবে।

ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুল মান্নান জানান, ‘উচ্চশিক্ষা কমিশনের জন্য সরকারের কাছে আমরা নতুন কিছু চাইনি। অন্য ১০টি দেশে যেভাবে উচ্চশিক্ষা কমিশন রয়েছে ঠিক সেভাবেই আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার যদি এসব না ভেবে শুধু অন্যান্য অধিদফতরের মতো উচ্চশিক্ষা কমিশন করে দেয় তাতে খুব একটা লাভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু নাম পরিবর্তনের জন্য ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশন করতে চাইনি। আমরা নির্বাহী ক্ষমতাসহ স্বশাসন বাড়াতে চেয়েছি।’ নাম পরিবর্তন কিংবা কাঠামোগত চরিত্র পরিবর্তন কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘নানা বিশ্লেষণের পর উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য প্রণীত আইনটি সচিব কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। এখন মন্ত্রিসভায় যাবে। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি উত্থাপনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’

এব্যাপারে ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশন যে খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল তা সংশোধন করে ১৩টি স্থানে ‘সরকারের অনুমোদনক্রমে’ বাক্যাংশ যোগ করা হয়েছে। ফলে কমিশনের যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। এখন ইউজিসি নিজস্ব পদ সৃষ্টি, যোগ্যতা নির্ধারণ ও নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু কমিশন গঠনের পর সে ক্ষমতাও থাকবে না। সিলেবাস কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও তাদের সম্মানী প্রদানের ক্ষেত্রেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুল মান্নান আরো জানান, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই আইনে চলেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে স্পিরিট নিয়ে আইনটি তৈরি করেছিলেন সময়ের তাগিদে সেটি আপডেট হলেও আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্পিরিট ধরেই আইনটি সংসদে পাস হওয়ার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবেন।’

 


ঢাকা, ২৮ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ