লাইভ প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুরো জাতি লাঞ্ছিত হয়েছে। এই হামলা কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এটা ভাবতেও লজ্জা লাগে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা আরও লজ্জার। কারণ আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানটিতে কথা বলেন কক্সবাজার জেলার ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা বিসিএস দেয় তারা কি মেধাবী নয়? তারা সকলেই তো মেধাবী। আর মেধাবী ছাড়া কি কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে পারে? পরীক্ষা তো যথেষ্ট কঠিন।
‘বিশেষ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া তো কেউ এই পরীক্ষা দিতে পারে না। এই পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা- অত্যন্ত মেধাবী হলে তারা পাশ করতে পারে এবং তারপরে তারা চাকরি পায়।’
প্র্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এরা (আন্দোলনকারীরা) এমন কি মেধাবী হয়ে গেলো যে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, পাশ করছে তারা মেধাবী নয়? এ ধরনের কথা-বার্তা এরা বলে কিভাবে বা এ নিয়ে হঠাৎ আন্দোলনে যাওয়ারই বা কি দরকার আছে? সেটা আমরা বুঝি না।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আন্দোলন করলে আন্দোলন করবে, কিন্তু সেখানে ভাঙচুর করা, ভিসির বাড়ি আক্রমণ করা, সেখানে ভিসি পরিবার লুকিয়ে কোন মতে জীবন বাঁচিয়েছে'।
আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েয় ছাত্রী। আমরাও আন্দোলন করেছি। দেখেছি খুব বেশি হলে ভিসির বাড়ির একটা ফুলের টব ভাঙা হতো। কিন্তু কখনো ছাত্র-ছাত্রীরা এটা চিন্তাও করতে পারেনি, যে তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেবে, ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে লুটপাট করা, চুরি করা... এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না।’
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের মহান আত্মত্যাগে স্বাধীনতা, সেই মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত। তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানি ভাতা দিয়ে সম্মান দেওয়া যায় না। তবে আমি চাই না তাদের কেউ কখনো কষ্ট পান।
ঢাকা, ১৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: