লাইভ প্রতিবেদক: এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা দুইশ' ছাড়িয়েছে। টানা ১২ দিনের অনশনে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন আরও অনেক শিক্ষক।
জানা গেছে, এখন থেকে তারা হাসপাতালে না যাওয়া ও স্যালাইন না নেওয়ার কথা বলছেন। এ আন্দোলনের কারণে গত ২৩ জুন থেকে সারাদেশে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'পাঠদান বন্ধ কর্মসূচি'ও অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণের দাবিতে এ অনশন শুরু হয়। এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের উল্টোদিকে 'নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন'-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করতে ইতিমধ্যে 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা' জারি হয়েছে। নীতিমালা অনুসরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ড. বিনয় ভূষণ রায় জানান, প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির জন্য যে নীতিমালার কথা উল্লেখ করেছেন, তাতে শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ নীতিমালা অসংখ্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এমপিওকরণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
ফেডারেশনের সভাপতি প্রিন্সিপাল গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, অনায্য নীতিমালার ফাঁদে ফেলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও তা না করে আমাদের গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। ১০ জুন থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
ঢাকা, ০৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: