লাইভ প্রতিবেদক: ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, এমন প্রার্থীদের (নন-ক্যাডার) পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সকাল সোয়া ১০টায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগে বসবাসকারী নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-তে অধিযাচনপত্র প্রেরণ।
এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১ম ও ২য় শ্রেণির নন-ক্যাডারের শূন্য পদসমূহ ৩৫তম বিসিএসে (নন-ক্যাডার) সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে পূরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৃথক একটি আবেদনপত্রও প্রদান করা হয়। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ আবেদনপত্র ও স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
তিনি দ্রুততর সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র ও স্মারকলিপি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। এসময় ৩৫তম বিসিএসে (নন-ক্যাডার) সুপারিশ প্রাপ্তদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সিলেটের মতো দেশের সকল বিভাগীয় শহরে একযোগে এ স্মারকলিপি ও আবেদনপত্র প্রদান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর সিলেট জেলায় বসবাসকারী নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি ও আবেদনপত্র প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২১৫৮ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয় এবং পদস্বল্পতার কারণে উত্তীর্ণ আরও ৩৩৫৯ জন প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, বর্তমানে ৩৯,৫৬৪টি প্রথম শ্রেণির ও ৩০,৪২২টি দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার সরকারি পদ খালি রয়েছে।
নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী এ সমস্ত শূন্য পদের ৫০% বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্য হতে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়সমূহ পিএসসি-তে সময়মতো শূন্য পদের তালিকা সম্বলিত অধিযাচনপত্র প্রেরণ না করলে অথবা পরবর্তী বিসিএস-এর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়ে গেলে এই ৫০% শূন্য পদ পূরণ যায় না।
নানা কারণেই মন্ত্রণালয়সমূহ সময়মতো পর্যাপ্ত অধিযাচনপত্র প্রেরণ করতে পারে না। অন্যদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুসারে, হাতে গোনা কয়েকটি মন্ত্রণালয় ছাড়া কোন মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত অধিযাচনপত্র পিএসসিতে প্রেরণ করেনি।
এদিকে প্রায় এক বছর আগে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে শূন্য পদের শতভাগই বিসিএস উত্তীর্ণদের কর্তৃক পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা এখনো মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদিত হয়নি। এমতাবস্থায় তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে জীবন-যাপনকারী নন-ক্যাডার প্রার্থীরা সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেশের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন।
এদিকে গত ২০ নভেম্বর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু করেছে পিএসসি। যা চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: