লাইভ প্রতিবেদক: এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুর্নিষ্ট ঘোষণা না দিলে আগামী সোমবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ সকল সংসদ সদস্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘২০১০ সালে এমপিওভুক্তির সময় কোনো নীতিমালা ছিল না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা এমপিওভুক্তির দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি করবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, অনুমোদিত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। রবিবারের মধ্যে সরকার পক্ষ থেকে সুর্নিষ্ট ঘোষণা না আসলে সোমবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করবো।’
সংগঠনের নেতারা বলেন, পাঠদানের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে সকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আগামী শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তারা। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সরকারের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে রবিবার পর্যন্ত শিক্ষকরা অপেক্ষা করবেন। ইতিবাচক সাড়া না পেলে সোমবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানন শিক্ষক নেতারা।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. সুশান্ত কুমার দাস, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক ড. সদরুল আমীন প্রমুখ ননএমপিও শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। তারা শিক্ষকদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে সুষ্পষ্ট বরাদ্দ না থাকায় ক্ষুব্ধ হন শিক্ষকরা। তারা রোজার মধ্যে ১০ জানুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। পুলিশ বাধা দিলে উল্টোপাশে রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। সেখানেই ঈদ করেন তারা।
ঢাকা, ২১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: