লাইভ প্রতিবেদক: ১২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে সরকার। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করেছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন-স্বীকৃতি বাতিল করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ১২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী সব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এসব প্রতিষ্ঠানের যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই করে সরকারি অনুদান (এমপিও) ও অনুমোদন-স্বীকৃতি বাতিল করা হবে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
গত ৬ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সারাদেশে তিন হাজার ৪১৫টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় মোট ১২২টি প্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি। এর মধ্যে সাধারণ আট বোর্ডের অধীন ১৬টি এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীন ৯৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিংবা বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অধিকাংশ মাদরাসার অনুমোদন, স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি করা হয়েছে। সৃষ্ট পদ অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১৬ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন। এর বাইরেও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে পরিচালনা পর্যদের সদস্যরা।
একাধিক শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বাবদ সরকারি ফান্ড থেকে মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে না।
অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দু-একজন শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। তাদের মধ্যে কেউ পাস না করায় শতভাগ ফেলের সমীকরণে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর চাইতে শিক্ষকদের সংখ্যাই বেশি।
‘ওইসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদ ও স্বীকৃতি বাতিল এবং এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সব সুবিধা বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে’ বলেও জানান মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আন্ত:শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দ্রুত শূন্য পাসের কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ করব। উপযুক্ত জবাব না পেলে অনুমোদন বাতিলেরও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
ঢাকা, ১৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: