লাইভ প্রতিবেদক: প্রজ্ঞাপনের ফাইল প্রস্তুত। শুধু মাত্র সাইনিং বাকি এমনটি দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রতিনিধি দল আমাদের জানিয়েছেন যে, আজ যদি আপনারা আন্দোলনে না আসতেন তাহলে হয়তো আজই ফাইলে স্বাক্ষর হয়ে যেত।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করেন।
প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। তবে সেই প্রতিনিধি দলে কারা কারা ছিলেন সেটা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি নুরুল হক নুর।
এসময় নুরুল হক নুর ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।
নুরুল হক আরো বলেন, ‘আজ দিয়ে তিনবার আমরা সরকারকে সময় দিলাম। আমরা সরকারের কথায় বিশ্বাস রেখে আন্দোলন স্থগিত করলাম। দেখা যাক সরকার আমাদের বিশ্বাসের ফল কি দেয়।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সাথে কথা বলে আমার এই পর্যন্ত যা মনে হয়েছে তাতে বাতিল হবে বলে মনে হয় না। হলে সংস্কারই হবে।’
অবরোধ প্রত্যাহারের আগে শাহবাগ মোড়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। রাজপথে কোনো কর্মসূচি থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিল করা হোক। আর সরকার যদি কোটা রাখতে চায় তাহলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রাখতে পারে।
হাসান আল মামুন বলেন, আগামীকালের কর্মসূচি যথা সময়ে শুরু হবে। সবাইকে কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান তিনি। এরপর আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যান। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: