লাইভ প্রতিবেদক: শুক্রবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বিসিএসে প্রিলিমিনারি থেকেই কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মানববন্ধন করেছেন। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা কোটা বিরোধী অন্দোলনে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে সরকারের বর্তমানে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিলেরও দাবি জানান তারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে দশটায় সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সারাদেশের চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা যখন কোটাবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে তুলেছেন, তখন এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। শুধু তাই নয়, কোটা সংস্কারে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বাতিল করে, বিসিএসে প্রিলিমিনারি থেকেই কোটা প্রথা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে দশটায় এ সমাবেশ ও মানববন্ধন শুরু হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ রাসেলসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত এ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাই এ সরকার তাদের সম্মান দিয়েছে। কোটাসহ রাষ্ট্রীয় কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। যা দেখে মুক্তিযু্দ্ধের বিপক্ষের শক্তি স্থির থাকতে পারছে না। তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।আমরা মুক্তিযু্দ্ধের সন্তান হয়ে এটা হতে দিতে পরি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই। সরকারি পরীক্ষার প্রিলি থেকে কোটা চাই। মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূণ্য পদের সংরক্ষণ চাই। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সব নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাস্তবায়ন চাই।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ রাসেল বলেন, হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেওয়ার দাবিতে একটি শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সরকারের এ সুযোগ বন্ধে তারা নানাবিধ প্রচারণা চালাচ্ছে।সরকারের দৃষ্টি আকর্শণের চেষ্টা করছে। তাই আমরাও সরকারকে বলতে চাই। এ দেশ লাখ শহীদের। শহীদদের সেই পরিবারের দেওয়া সুযোগ আমরা বন্ধ হতে দিব না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন চলছিল।
ঢাকা, ১৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: