Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

পুলিশে নারী কনস্টেবল নিরাপদ নয়!

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বার ২০১৬, ০১:১৪

 



লাইভ প্রতিবেদক: পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই পুলিশই যদি অনিরাপদ হয়। তাহলে জনগণ কোথায় যাবে। হ্যাঁ ঠিক তাই বাংলাদেশের পুলিশরা এখন অনিরাপদ। এমনি একটি তথ্য দিয়েছে সিএইচআরআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘পুলিশে কর্মরত নারী কনস্টেবলদের ১০ ভাগের বেশি সদস্য যৌন হয়রানির শিকার হন। পুলিশ বিভাগে কর্মরত নারী কর্মকর্তাদের (উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক) শতকরা তিন ভাগ এ ধরনের ঘটনার শিকার হন। ক্যাডার পর্যায়ের নারী পুলিশরাও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বাইরে নন।’

তবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের তথ্য একেবারে ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তিনি বলেন, পুলিশে যে কোনো পদের নারী কর্মী কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন—এ রকম কোনো নজির নেই।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপের এ টি এম শামসুল হক মিলনায়তনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের (সিএইচআরআই) যৌথ উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে পুলিশ বিভাগে নারী সদস্য ১১ হাজার ৩৮ জন। এটি পুলিশের মোট জনবলের ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ। এখানে কর্মরত নারীরা মনে করেন, নারীদের কাজের জন্য পুলিশ বিভাগ একটি ভালো জায়গা। বেশির ভাগ নারী পুলিশ মনে করেন, পুলিশের পোশাক তাঁদের পুরুষের সমান ক্ষমতা দেয় এবং জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা পুরুষ সহকর্মীদের সমান। এ ক্ষেত্রে তাঁরা পরিবারের সমর্থনও পান।

গবেষণা প্রতিবেদনে নারী পুলিশ সদস্যদের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। দেশে নারী পুলিশদের জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দায়িত্ব দেওয়া হয় না। ক্যাডার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে মাত্র একজন নারী আছেন। এ ছাড়া পুলিশের জ্যেষ্ঠ পদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব কম। নেতৃত্ব ও মাঠপর্যায়ের ব্যবহারিক ভূমিকা থেকে তাঁদের দূরে রাখা হয়। অনেক নারী পুলিশ যৌন হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ দায়ের হয় না।

কারণ, নারী পুলিশ সদস্যদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে পুরুষ কর্মকর্তারা সংবেদনশীল নন। এ কারণে পুলিশ বিভাগের উচিত দ্রুত পূর্ণাঙ্গ জেন্ডার নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (লজিস্টিকস অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ও বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি মিলি বিশ্বাস, সিএইচআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অদিতি দত্ত, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান আইনজীবী সালমা আলী প্রমুখ।

 
ঢাকা, ২২, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ