শেরপুর লাইভ: নতুন ধানে ফসলের মাঠ ভরে দেওয়ার জন্য গারোদের ফসলের দেবতা মিসি সালজংকে ধন্যবাদ জানাতে প্রতি বছর গারো সমাজের রীতি অনুযায়ী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়ম নগর সাধু জর্জ ধর্ম পল্লীতে ২০ নভেম্বর রোববার সকালে গারোদের ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাটির প্রদীপ জ্বালানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাচ গান ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিকেলে ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠান শেষ হয়। এছাড়া খ্রষ্টান ধর্মের অনুসারীরাও এসব গারো আদিবাসীরা তাদের স্থানীয় গির্জায় যিশু খ্রীষ্টকে তাদের কৃষ্টি ও নৃত্যের তালে তালে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এক সময় গারো পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে উঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গারো আদিবাসীরা ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব পাল করে আসছে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়মনগর খ্রীষ্টান ধর্মপল্লির নিয়ন্ত্রনে জেলার সদর উপজেলাসহ শ্রীবরর্দী, ঝিনাইগাতী এবং জামালপুর জেলার বক্সীগঞ্জ উপজেলার গারো সমাজের ৪৭ টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে ১৯৮৫ সাল থেকে এখানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পুরোহিত্য করেন মরিয়মনগর সাধু জর্জ ধর্মপল্লী’র ফাদার সুবল কুজুর সিএসসি। উৎসবে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো সম্প্রদায়ের ১২ টি গোত্রের নারী, পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষ্যে মিশনের পাশে বসেছিল জমজমাট মেলা। মেলায় গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোষাকসহ শিশুদের নানা রকমের খেলনা বিক্রি করা হয়।
ঢাকা, ২০, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: