লাইভ প্রতিবেদক: জাতীয়করণের দাবিতে ৭দফা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে সংগঠনটি কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের কর্মসূচি হচ্ছে, ১৩ই ফেব্রুয়ারী এর মধ্যে স্থানীয় এমপি, পেশাজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় সকল জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় সংসদের স্পীকার ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান। ৩রা মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি।
৮ই মার্চ জেলা সদরে সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতীকি অনশন। ৯ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ এবং ১৯শে মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ। গতকাল শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জরুরী সভা শেষে সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মো. সেলিম ভূঁইয়া এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণের দাবি চাকুরি জাতীয়করণ। এই দাবি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। বর্তমানে সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাৎসরিক যে ১০৪৭৯ কোটি ৬৯ লক্ষ ২২ হাজার ২ শত টাকা প্রদান করেন তাতেই চাকুরী জাতীয়করণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার চরদখলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে চলেছে। সরকারী দলের এমপি, তাদের আত্মীয় স্বজন ও ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এর আগে সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় প্রিন্সিপাল চৌধুরী মুগীস উদ্দিন মাহমুদ, প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আব্দুর রহমান, প্রফেসর আলমগীর হোসেন, প্রফেসর আবু সাঈদ, প্রফেসর আব্দুল মফিজসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারি নেতা বক্তব্য দেন।
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: