গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে।
ঘটনাস্থলে কোন কর্তৃত্ববলে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, এর ব্যাখ্যা দাখিলে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করে তিনটি সংগঠন।
সংগঠন তিনটি হলো আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ব্রতী সামাজিক কল্যাণ সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। আসকের কৌঁসুলি অবন্তী নুরুল রিট আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাল বৃহস্পতিবার রিট আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।
তিন সংগঠনের করা রিটে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাঁওতালদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
চাওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা। এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে সাঁওতালদের হয়রানি না করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কয়েকটি বিষয়ে রুলও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাঁওতালদের জানমাল ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এসব বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিল্পসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ জনকে বিবাদী হিসেবে রাখা হয়েছে।
৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় ওই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: