লাইভ প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের জানাজা ও দাফন জামালপুরে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মেলান্দহ উপজেলার আগ পয়লা গ্রামে ঝরনা বেগম, জাকারিয়া ও জান্নাতের দাফন সম্পন্ন হয়।
এরপর ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে জানাজা শেষে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয় ফাহিমা বেগমকে।
লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বাড়িতে পৌঁছাতেই ভিড় জমায় শত শত জনতা। অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় স্বজনদের চিৎকার। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
এদিকে বুধবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর ঘোড়ামারা গ্রামে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে রুবেলকে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। বিয়ের বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুড়বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৭), তার খালা ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় পৌঁছালে উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সাবাই মারা যান। তবে তারা মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন নব দম্পত্তি।
হৃদয়ের স্ত্রী রিয়ার বাবার বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ঢেংগারগড় এলাকায়। তবে তার পরিবার দু’বছর আগে সাভারের আশুলিয়ায় খেজুর বাগান এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন।
এ ঘটনায় ১৫ আগষ্ট রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণার ছোট ভাই আফরান মন্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে। মামলা নং-৪২।
ঢাকা, ১৭ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: