Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৩

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২, ২০:৪৫

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি

পঞ্চগড় লাইভ: পঞ্চগড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর রাতে সেখান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সদরের বড়দাপ এলাকার কলিম উদ্দীনের ছেলে মোকসেদুর রহমান (২৮), একই উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আহসান হাবিব (২৮) এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি এলাকার বাবর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দীন (৩৮)। এদের মধ্যে মকসেদুর ও আহসান হাবিব নিয়োগ পরীক্ষার্থী এবং বেলাল উদ্দীন নিয়োগ জালিয়াতি চক্রের অন্যতম হোতা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও জেলা প্রাথমিক নিয়োগ বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থী মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিব মঙ্গলবারের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এ সময় দুজনের মৌখিক পরীক্ষার লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার খাতায় লেখার অমিল দেখতে পায় নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষকরা। পরে সন্দেহ হলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দুজনেই লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে তারা বলেন আমরা দুজনেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে, প্রতিনিধি দিয়ে লিখিত পরীক্ষার খাতায় উত্তর দিয়েছিলাম। বিরাট অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। এই চক্রের মূল হোতা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার বেলাল হোসেন। এরপর নিয়োগ বোর্ড কৌশলে বেলালকে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসেন। পরে তিনজনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।

সদর থানা পুলিশের ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পুলিশের তাদের সোপর্দ করা হয়। রাতে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, লিখিত পরীক্ষায় হাতের লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং এজন্য তারা মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেছেন বলেও স্বীকার করেন।

ঢাকা, ০৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ