Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বন্যায় কুড়িগ্রামে তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২, ০২:৪০

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম লাইভ: কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে অত্যন্ত ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্রে পানি বেড়েছে। এই দুই নদীর ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা প্রলম্বিত হওয়ায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে, বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পাঠদান বন্ধ তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

প্রশাসনের দেওয়াতথ্য মতে, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের ৩৫ হাজার ৪০৩ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

প্রতিটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিতরণের ধীরগতিতে এখনও অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সামান্য কমে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও, চিলমারী পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পাউবো এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাদ্রাসা ও একটি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলায়; ৭৯টি। রৌমারীতে প্লাবিত ৬৮, উলিপুরে ৫৮, চিলমারীতে ৩৮, সদরে ১৮, রাজীবপুরে ১৭, ভূরুঙ্গামারীতে ৭, ফুলবাড়ীতে ৬ ও রাজারহাটে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম জানান, ২৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮টি মাদ্রাসা ও ১টি কলেজ বন্যাকবলিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ আছে।

ঢাকা, ২১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ