সিলেট লাইভ: সিলেটে সুরমা নদীর পানি কমেছে। তবে আসামে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে বেড়ে যাচ্ছে কুশিয়ারার পানি। এতে পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে কুশিয়ারা নদীরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন জায়গায়। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানান, মেঘালয়ের ঢলে সুরমা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর পানি বাড়ে। আসাম থেকে ঢল নামলে কুশিয়ারার পানি বাড়ে। এখন ঢল নামছে আসাম থেকে। তাই কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং ওই নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
পাউবো জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি এতদিন ধীরে বাড়ছিল। রোববার থেকে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে শুরু হয় বাঁধের ভাঙন। কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলায়।
পাউবো আরও জানায়, সোমবার পর্যন্ত জকিগঞ্জ উপজেলায় ৩৯টি বাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সুলতানপুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর, সদর ইউনিয়নের রারাই, বীরশ্রীর সুপ্রাকান্দি, কাজলসারের বড়বন্দ এলাকায়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং জানান, পানি কমছে, তবে খুবই ধীর গতিতে। কাল সারা দিনে দুই সেন্টিমিটারও কমেনি। এখনও উপজেলা পরিষদ ভবন পানিতে তলিয়ে আছে। সিলেট নগরীর উঁচু এলাকা থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে।
ঢাকা, ২১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: