স্পোর্টস লাইভ: ঢাকা ডাইনামইটস্ এর বিপক্ষে ৯ রানে জয় পেয়েছে খুলনা। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর অর্ধশতকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ গড়ে টানা তৃতীয় জয় পেল খুলনা। বাজে ফিল্ডিং ও ব্যাটিং ব্যর্থতায়, টানা তিন জয়ের পর হারের মুখ দেখতে হলো তারকাখচিত ঢাকাকে।
এদিকে খুলনার এ জয়ে ঢাকার সঙ্গে পয়েন্ট সমতায় এসেছে খুলনা। ছয় ম্যাচে ঢাকার পয়েন্ট ৮। পাঁচ ম্যাচে সব মিলিয়ে চতুর্থ জয় পাওয়া খুলনার পয়েন্টও ৮।
দারুণ সব ছক্কায় ঢাকা ডায়নামাইটসকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন সিকুগে প্রসন্ন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। তাকে ফিরিয়েই ৯ রানের জয় তুলে নেয় খুলনা টাইটানস।
৮৩ রানে নেই ঢাকা ডায়নামাইটসের ৭ উইকেট। খুলনা টাইটানসের জয়টা তখন বলতে গেলে হাতের মুঠোয়। প্রথমে ব্যাট করা খুলনার ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান যে তখনও অনেক দূরের পথ ঢাকার জন্য। অথচ সেই দুর্গমগিরি আর একটু হলে পেরিয়েই যাচ্ছিল সেক্কুগে প্রসন্নর টর্নেডো ইনিংসে। শ্রীলঙ্কান এই স্পিনার শেষ দিকে মাত্র ২২ বলে করেছেন ৫৩ রান। যদিও হার এড়াতে পারেনি ঢাকা।১৯.১ ওভারে ঢাকা অলআউট হয়ে যায় ১৪৮ রানে।
সেক্কুগে নয় নম্বরে নেমে প্রসন্ন ঝড় তুললেন চট্টগ্রামে। খুলনার বোলারদের ওপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে দিয়ে বল উড়িয়ে মেরেছেন বাউন্ডারির বাইরে। ম্যাচটা নিয়ে এসেছিলেন ফিফটি-ফিটটি অবস্থায়। তার ঝোড়ো ইনিংসেই শেষ ওভারে ঢাকার দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু পারেননি, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, নামের পাশে তখন ২২ বলে ৫৩ রান। মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা লঙ্কান স্পিনার তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৭ ছক্কায়।
অন্যদিকে ঢাকার আশা হয়ে টিকে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন (৩৫)। দুটি করে ছক্কা-চার হাঁকানো এই তরুণের ওপর বাড়ছিল রানের গতি বাড়ানোর চাপ। রান-বলের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে মোশাররফ হোসেনের বলে তিনি ক্যাচ দেন সীমানায়।
চট্টগ্রামের শুরুটাও ভালো হয়নি খুলনার। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরতেই রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হাসানুজ্জামান (০)। ওয়ান ডাউনে নামা শুভাগত হোমকে নিয়ে সেই চাপটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। নামজুল হোসেন শান্তর বলে ক্যাচ দেন তিনি নাসির হোসেনের হাতে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য সেই চাপটা কাটিয়ে উঠে খুলনা শুভাগত-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তাদের ৪৪ রানের জুটিতে গতি পায় খুলনার স্কোরে। কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা শুভাগত (২৪) ডোয়াইন ব্রাভোর বলে বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে তাদের জুটি। নিকোলাস পুরানও (১৬) ফিরে যায় দ্রুত।
যদিও এক প্রান্ত আগলে রেখে আরেকটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। স্ট্রোকের ফুলঝুরিতে ৪৪ বলে তিনি খেলেছেন ৬২ রানের কার্যকরী ইনিংস। মোহাম্মদ শহীদের বলে ব্রাভোর হাতে ধরা পড়ার আগে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৪ চার ও ৪ ছক্কায়। আউট হওয়ার আগে পঞ্চম উইকেট জুটিতে খুলনা অধিনায়ক ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তাইবুর রহমানের সঙ্গে। তাইবুর ২৪ বলে অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। ঢাকার সফল বোলার ব্রাভো ২৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
ঢাকা, ১৯, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: