বাকৃবি লাইভ: ‘মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে’ স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২২’ পালিত হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও ‘মাটি: যেখানে খাদ্যের সূচনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তাহসিনা শারমিন হক সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মো. হোসেনুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের কনফারেন্স রুমে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সেমিনারে মাটির গঠন ও ব্যবহারের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্পোরেট সোশাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়াও সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাকেহিরো ক্যামিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনামুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের, অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেন সুমন, অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরসহ ওই বিভাগের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মৃত্তিকা বিজ্ঞানীগণ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণই হলো মাটি। খনিজ পদার্থ, জৈব-অজৈব পদার্থ, বায়ু ও পানি ইত্যাদি মিশ্র পদার্থ দ্বারা মাটি গঠিত। ফসল উৎপাদনের প্রধান ভিত্তি মাটি। এই মাটি আমাদের রক্ষা করতে হবে। মাটি দূষণ বন্ধ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. তাহসিনা শারমিন হক বলেন, কৃষি জমিতে ৫ শতাংশ হারে জৈব পদার্থের থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। তাই কৃষি জমিকে কম চাষ করতে হবে। এছাড়া কৃষি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যাবে না। কৃষকদেরও সচেতন করতে হবে। রাসায়নিক সার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভারী ধাতুর উৎস গুলো থেকে মাটিতে ধাতুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটিতে দূষণ রোধ করতে জনসাধারণকে সচেতনতাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: