
বশেফমুবিপ্রবি লাইভ: গবেষণা সফরে জাপান যাচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান। ইনস্টিটিউট অফ বায়োসাইন্স এন্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. আটসুসি কুরাবায়োশির আহ্বানে জাপানের নাগাহামা যাচ্ছেন তিনি।
শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫৫মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে ৯ঘন্টা যাত্রা বিরতি দিয়ে আগামীকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় জাপানের ওসাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
সেখানে তিনি সাপ ও ব্যাঙের মধ্যে হরিজেন্টাল (আনুভূমিক) জিন ট্রান্সফার নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করবেন। এছাড়া যমুনা নদীর রুইমাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর মলিকুলার বিষয়ে গবেষণা করবেন।
তার ৩টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ (হোপলোব্যাট্র্যাকাস লিটোরালিস, মাইক্রোহিলা মোখলেসুরি ও মাইক্রোহিলা মাইমেনসিংহেসিস) আবিষ্কারসহ অনেক মৌলিক গবেষণা রয়েছে। যা ২৮টির বেশি গবেষণা পেপার দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স অনুযায়ী বশেফমুবিপ্রবিতে বিশ্বসেরা গবেষক র্যাংকিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বায়োলজিক্যাল সাইন্সে মৌলিক বিষয়ে গবেষণা করে মানবজাতি ও সভ্যতার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, ড. হাছানের তত্ত্বাবধায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ফান্ডে বশেফমুবিপ্রবির জন্য জেনেটিক এনালাইজার নামক সোয়া কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্র ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সফর নিয়ে ড. হাছান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন- "আমার এ গবেষণা সফরের মূল উদ্দেশ্য ব্যাঙ ও সাপের মধ্যে যে হরিজেন্টাল জিন ট্রান্সফার হয় তা এবং যমুনা নদীর রুই মাছের জীবন রহস্য (Whole Genome Sequence) নিয়ে গবেষণা করা। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা ও বিশ্ব দরবারে তা ছড়িয়ে দেওয়া।"
তিনি আরো বলেন, জেনেটিক এনালাইজার মেশিনটি আমরা নিয়ে আসতে পারলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার লেভেলে গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হবে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষকরা যেমন জিন সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে পারবে তেমনি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এখানে এসে কাজ করিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।
ঢাকা, ১২ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//কেআই//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: