বাকৃবি লাইভ: 'প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন' স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২' আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টায় পশুপালন অনুষদের সামনে দিবসটি উপলক্ষে সার্বজনীন ডিম বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘এগস ফর এ বেটার লাইফ' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সার্বজনীন ডিম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। পরে উপস্থিত সবার মধ্যে বিনামূল্যে ডিম বিতরণ করা হয়। এরপর পশুপালন অনুষদের ফটক থেকে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষের সামনে এসে শেষ হয়।
পরবর্তীতে ‘এগস ফর এ বেটার লাইফ' শীর্ষক অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা।
অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, প্রাণীজ আমিষের প্রধান উৎস ডিম। ডিমের বায়োলজিক্যাল ভ্যালু অনেক বেশি (৯৩.৭ শতাংশ)। যেখানে দুধের ভ্যালু ৮৪.৫ এবং গরুর মাংসের ৭৪.৩। আমাদের প্রচলিত সকল প্রাণীজ আমিষ উৎসের মধ্যে ডিমের বাজার মূল্য সবচেয়ে কম।
ডিম দিবসের উদ্দেশ্য হলো ডিম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রচলিত বিভ্রান্ত দূর করা। ডিমের মধ্যে রয়েছে উপকারি কোলেস্টেরল রয়েছে। যা আমাদের ডায়েটের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে কোলিন প্রয়োজন যেটি ডিম থেকে পাওয়া যায়। ডিম সেরোটনিন এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে যা মানুষের মানসিক চাপ কমায় ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে। ডিম ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ডিম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ খাদ্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা ছিল যে ডিমের কুসুম না খেয়ে সাদা অংশ খেতে হবে। কিন্তু ডিমের কুসুমে পুষ্টিগুন বেশি। আমরা প্রতিদিন যে ভাজাপোড়া খাবার খাই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ডিম রাখা দরকার। প্রতিদিন সকালে ডিম খেলে আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটনিন এনজাইম তৈরি হয়। যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
সেমিনারে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. বাপন দে এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও সাবেক ইউজিসি অধ্যাপক ড. এস.এম বুলবুল, পশুপালন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলীসহ বিশ্বিবিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআর//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: