Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
খুঁজছে পুলিশ

নারী নির্যাতন মামলায় জাককানইবির শিক্ষক সাইফুল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন!

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০৭:১৯

 নারী নির্যাতন মামলায় জাককানইবির শিক্ষক সাইফুল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন!

জাককানইবি লাইভ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম দুই সন্তানের মা হওয়া প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে বিয়ে করেছেন একসময়ের সহপাঠীকে। এবার সেই সহপাঠীর সাথে ২৬ মাস সংসার করার পর যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলার আসামী হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। স্ত্রীর করা নারী নির্যাতনের মামলার পূর্বে নম্বর জালিয়াতির অভিযোগে বেশ আলোচনায় ছিল এই শিক্ষকের নাম।

আগস্টের শেষ সপ্তাহে মামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ড. সাইফুল ইসলামের ২য় স্ত্রী মোছাঃ সোহেলী আক্তার। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, তাকে রংপুরের জমি বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেয় সাইফুল ইসলাম এবং তা না মানায় তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া সে অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে গভীর রাতে ভিডিও চ্যাটিং এ ব্যস্ত থাকতো যার প্রতিবাদ করাতে তার উপর নির্যাতন করতো।

এদিকে সাংসারিক কলোহের জের ধরে গেলো ১৪ আগস্ট তার ২য় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করলে পরদিন সেই স্ত্রী বাবার বাড়ী চলে যায় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করে। এরপর একই মাসের ২৪ তারিখ ময়মনসিংহের বাসায় এসে ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গেও গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সাইফুল ইসলাম। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাসায়ও নিয়ে যেতেন তিনি। আবার প্রথম স্ত্রীর এক বান্ধবীর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে জানায় বিভাগটির একাধিক সূত্র। এমন অভিযোগ তার ২য় স্ত্রী মোছাঃ সোহেলী আক্তারও তুলেছেন।

মামলার পর সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহের বাসা থেকে পালিয়ে ত্রিশালের একটি ছাত্রমেসে আশ্রয় নেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে তিনি মেস থেকে চলে যান। পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী অভিযুক্ত আসামী এখন ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর এ বিষয়ে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা মামলার কোন নথি এখনো হাতে পাইনি। অভিযুক্ত শিক্ষক যদি গ্রেফতার হোন কিংবা অপরাধী হোন আমরা জানা মাত্রই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গ্রেফতার হলেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মামলার ব্যাপারে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, আমরা আন্দন্দমোহন কলেজের এক শিক্ষিকার নারী নির্যাতন ও যৌতুক নিয়ে করা মামলা নিয়ে কাজ করছি। আসামী তার স্বামী সাইফুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে আনার চেষ্টা করছি।

ওসি আরো বলেন জানতে পেরেছি ওই সাইফুল ইসলাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে বলে আশা করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে আসলে কেন এমনটি করছেন ওই শিক্ষক।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের জন্ম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে পিএইচডি করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে নিয়ােজিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সােসাইটি কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত জাতীয় কোষগ্রন্থ বাংলাপিডিয়ার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।

বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন পাঁচ বছর। বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলাের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।

ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ