
বাকৃবি লাইভ: পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নানা অয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল ৮টায় বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধাপক ড. লুৎফুল হাসান। এসময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, প্রক্টরিয়াল বডি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো আজহারুল ইসলাম।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড.লুৎফুর হাসান বলেন। উপাচার্য লুৎফুল হাসান বলেন, ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে সেনাবাহিনীর বিপথগামী একদল ঘাতকের হাতে নৃশংসভাবে সপরিবারে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এমন ভয়াবহ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি শিক্ষিত জাতি গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন। শোকের মাসকে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তার কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থী বান্ধব করতে হবে।
এরপর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির এবং সকল উপাসনালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা, ১৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরএ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: