Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হৃদয় ১৪ দিনেও ঘরে ফিরেনি

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩৭

 

রফিক মজিদ, শেরপুর: নিখোঁজের ১৪ দিনেও হৃয়ের খোঁজ মিলেনি হৃদয়ের। মা বাবা জানে না সে কোথায় আছে, কিভাবে আছে? বেঁচে আছে আদৌ? শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের কবুতরমারী গ্রামের সোহাগ মিয়ার একমাত্র ছেলে হৃদয়। সে দিশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার পুরো নাম মোঃ হৃদয় হাসান কালু। দীর্ঘদিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে।

এঘটনায় হৃদয়ের বাবা সোহাগ মিয়া নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। কিন্তু নিয়মিত থানায় ধর্না দেন। জানতে চান তাদের আদরের সন্তান কোথায় আছে? কেমন আছে? কিন্তু কেউ কোন তথ্য জানেনা তার।

হৃদয়ের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, সবাই হৃদয় হারানোর বেদনায় কাতর। কেউ কোন কথা বলতে গেলেই তারা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। বলেন আমাদের হৃদয়কে তোমরা ফিরিয়ে দাও?

নকলা থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে হৃদয়ের বাড়ির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো। বাড়ির সবাই ওই বিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এ সুযোগে হৃদয় তার ব্যবহৃত পোশাক, বই-খাতা ও নগদ ১৪০০ টাকা নিয়ে সবার অজান্তে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আত্মীয়ের বাড়ি সহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

এবিষয়ে দিশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ১৮ তারিখ শনিবার হতে ২০ তারিখ পর্যন্ত হৃদয় স্কুলে না আসায় খোঁজ নিয়ে জানেন সে ১৭ তারিখ হতে নিখোঁজ রয়েছে।

তাই তিনি হৃদয়ের বাবাকে থানায় বিষয়টি অবগত করতে পরামর্শ দেন। তার বাবা সোহাগ মিয়া ২০ তারিখে নকলা থানায় একটি জিডি (নং-৬৩৪) করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, দিশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ হৃদয় হাসান দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে এখন শুনেছেন, খোঁজ খবর নিয়ে পরে তিনি বিষয়টি বিস্তারিত বলতে পারবেন।

হৃদয়ের মা রেহেনা বেগম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ছেলেডারে খোঁজার এমন কোন জায়গা বাত রাহি নাই। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায় নাই। দিনে দুপুরে আমার ছেলেডার কি অইলো বলেই কাঁদতে থাকেন।

হৃদয়ের বাবা সোহাগ মিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ছেলে সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সবার খাওয়া, ঘুম হারাম হইয়া গেছে। যে যেমনে বলতাছে, সেই ভাবেই দৌঁড়াইতেছি। অহন কি করমু বুঝবার পাইতাছি না।

নকলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে ওসি) খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, এ ব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ভাবেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

 

ঢাকা, ০২ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ