বগুড়া লাইভ: ছুরিকাঘাতে আহত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মেহেরাজ হোসেন ফাহিম। তিনি শজিমেকের ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী (ইন্টার্ন চিকিৎসক) ছিলেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত মেহেরাজ হোসেন ফাহিম শজিমেকের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফাহিম বন্ধুদের সঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তারা ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল হোসেনের দোকানে ঝাল-মুড়ি খেতে যান। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে বাবা-ছেলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ফাহিম ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। ছেলেকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওইদিনই ফাহিমের বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেছিলেন। এই ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফরদি ব্যাপরী ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম বলেন, ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান দুই আসামি বাবা-ছেলেকে ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা এখনও জেলহাজতে রয়েছে।
ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: