নোয়াখালী লাইভ: নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ২০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ফটকে তালা দিয়ে কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে এ আন্দোলন করেন মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত কলেজের হোস্টেল ও ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা, লাইট, চেয়ার, টেবিলের সংকট রয়েছে। এছাড়াও হোস্টেলে পানির মোটর ও ট্যাংকও নষ্ট থাকে। যার ফলে খাবার পানি নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। শৌচাগারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। এদিকে কর্মচারীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও দায়িত্বহীন আচরণের কারণে প্রায় সময় পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। হোস্টেলের চারপাশ অপরিষ্কার। গ্রন্থাগারেও নেই পড়াশোনার পরিবেশ। গ্রন্থাগারিক হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি কখনোই কার্যালয়ে আসেন না। এছাড়া গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত বইও নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র এবং ছাত্রীদের হলে সিট সংকট রয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ক্লাসরুমে থাকছেন। ক্যাম্পাসের কোথাও সুপেয় পানি নেই, রয়েছে ব্যবহারের পানির সংকটও। ক্লাস থেকে হলে যাওয়ার সড়কটির বেহাল দশা। ক্যাম্পাসে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। ফলে অবাধে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তারা কলেজ ক্যাম্পাস, হল ও ক্লাসরুমগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কলেজের এসব অব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ দৃশ্যমান হয়নি। ফলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের দাবি দ্রুত মেনে না নিলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তালা দেওয়ার বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর আবদুস ছালাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো দাবির সত্যতা আছে। আমরা সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি। এছাড়া কর্মচারীদের ব্যবহার ভালো নয়, তাই তাদেরকে অবরুদ্ধ করেছে। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিয়েছে।
ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: